সংবাদদাতা, তারকেশ্বর: শনিবার সকাল থেকে তারকেশ্বর স্টেশন সংলগ্ন এলাকায় চলল রেলের উচ্ছেদ অভিযান। গৃহহারা হল প্রায় ৭০টি পরিবার। বন্ধ হল অনেক দোকান। এদিকে, এই উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে তৃণমূল আর বিজেপির মধ্যে চলল চাপানউতোর।
রেলের মানচিত্রে তারকেশ্বর স্টেশন অমৃত ভারত প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। স্টেশন এলাকায় উন্নয়নের কাজ চলছে জোরকদমে। তাদের জায়গা থেকে অনুমোদনহীন ব্যবসায়ী, দোকান ও বসবাসকারীদের উঠে যাওয়ার জন্য কয়েক দফায় নোটিস দেয় রেল। সেই নোটিস অনুসারে ১২ জুলাই ছিল রেলের এলাকা খালি করে দেওয়ার শেষ দিন। এরপর এদিন সকালে তারকেশ্বর ১ নম্বর প্লাটফর্ম এলাকায় শুরু হয় উচ্ছেদ অভিযান। বিশাল পুলিস বাহিনীর সঙ্গে ছিল জেসিবি। দুই নম্বর প্ল্যাটফর্মের পাশের এলাকায় বসবাসকারীদের ঝুপড়ি জেসিবি দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়। চোখে জল নিয়ে ঘরের শেষ সম্বলটুকু বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন সকলে। রেলের জায়গায় বসবাসকারী পুঁটি দাস ও মায়া রায় জানান, প্রায় ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে আমরা এই জায়গায় বসবাস করছি। আমরা আরও কিছুদিন সময় চেয়েছিলাম। লোকসভা ভোটের আগে এখানে ঝুপড়ি ভেঙে দেওয়ার কথা বলেছিল। তবে ভোট থাকায় তখন উচ্ছেদ অভিযান চলেনি। ভোট মিটতেই চলল অভিযান। পুনর্বাসন না দিয়েই রেল আমাদের উচ্ছেদ করে দিল।
অন্যদিকে, এই উচ্ছেদ অভিযান নিয়ে বিজেপি ও তৃণমূল একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে। তারকেশ্বর পুরসভার ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলরা অমরেন্দ্রনাথ সামুই জানান, তারকেশ্বর পুরসভা ৩ জুলাই থেকে রাস্তায় সাধারণ মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে ব্যবসায়ীদের দোকানের বর্ধিত অংশ ভেঙে দেয়। এই নিয়ে বিজেপির তিন বিধায়ক তারকেশ্বর থানায় ডেপুটেশন জমা দেন। এবার রেল পুনর্বাসন না দিয়ে এত মানুষকে গৃহহারা করে দিল। এখন বিজেপির দেখা নেই। আর বিজেপির তারকেশ্বর বিধানসভার কনভেনার তারকনাথ সাউ বলেন, আমরা সবরকম উচ্ছেদের বিরুদ্ধে। এই উচ্ছেদের বিরুদ্ধেও আমরা রেলকে লিখিতভাবে জানাব।