নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সাদা কাগজের রসিদ। তাতে লেখা—‘বিয়েবাড়ি ভাড়ার জন্য অগ্রিম টাকা নেওয়া হল। এই টাকা ব্যবহার করা হবে স্কুলের উন্নয়নের স্বার্থে।’
এখানেই শেষ নয়। লেখার নীচে আবার ‘শ্রমিক বিদ্যালয়’এর সরকারি স্ট্যাম্প দিয়ে সই করেছেন স্কুলেরই টিচার ইনচার্জ। এভাবেই চলত দীর্ঘদিন ধরে সরকারি স্কুলের বিল্ডিংকে বিয়েবাড়ি হিসেবে ভাড়া দেওয়ার অরাজকতা চালাতেন অভিযুক্ত ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক অজয়কুমার কোবিদ। ২০১৬ সালের এমনই একটি রসিদ হাতে এসেছে বর্তমানের। সেখানে দেখা গিয়েছে, স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক হিসেবে স্ট্যাম্প ব্যবহার করেই সেই রসিদ কেটেছেন অজয়কুমার। তখন ভাড়া বাবদ নিয়েছিলেন ২৫০০ হাজার টাকা। কিন্তু, লোভ ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করে গতবছর। পুলিস জানিয়েছে, ২৩ সালের মার্চ মাসে একইভাবে বিয়েবাড়ি ভাড়া দিয়ে ৪০ হাজার টাকা নিয়েছেন তিনি। এমনই অভিযোগ করছেন স্কুলের অন্যান্য শিক্ষকরা। তবে এপ্রসঙ্গে অবশ্য একেবারে ‘মিথ্যা’ বলে দাবি করেছেন শিক্ষক মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি।
অন্যদিকে, কিছু বছর আগে সিএসআর (কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি) প্রকল্পে দেশের প্রথম সারির একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের তরফে স্কুলের ছাত্রদের জন্য একটি কম্পিউটার দেওয়া হয়। পড়ুয়াদের কম্পিউটার জ্ঞান বৃদ্ধির জন্যই এই উদ্যোগ নিয়েছিল ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ। স্কুলের সহকারী শিক্ষক পবনকুমার গোন্দের অভিযোগ, সেই কম্পিউটার এখন আর স্কুলে নেই। পড়ুয়ারা তা ব্যবহারও করতে পারেন না। সেই কম্পিউটার খোলা বাজারে বিক্রি করে দিয়েছেন টিচার ইনচার্জ। এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করছেন সহকারী শিক্ষক। যদিও এর ভিত্তিতে সরকারিভাবে বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরকে কোনও অভিযোগ করেননি স্কুলের কোনও শিক্ষকই।