জাতীয় সড়কে বেপরোয়া গাড়ির দৌরাত্ম, বলি ২। রবিবার ভোরে নদিয়ার শান্তিপুর থানার ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের ফুলিয়া বাসস্ট্যান্ডের কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। রানাঘাট থেকে কৃষ্ণনগরমুখী একটি পিক আপ ভ্যান নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মর্নিং ওয়াক করতে আসা এক ব্যক্তি এবং বাসস্ট্যান্ডে অপেক্ষারত এক যাত্রীকে ধাক্কা দেয়। তাঁদের উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। তাঁদের মধ্যে এক ব্যক্তির নাম সুরজিৎ ঘোষ। তাঁর বাড়ি ফুলিয়া বুইচাঘোষ পাড়া এলাকায়। অপর ব্যক্তির নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি। ওই ঘাতক পিক আপ ভ্যানটির সন্ধান শুরু করেছে পুলিশ।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, রবিবার ভোরে বাসের জন্য স্ট্যান্ডে অপেক্ষা করছিলেন এক ব্যক্তি। অন্যদিকে, অপর ব্যক্তি মর্নিং ওয়াক করছিলেন। আচমকাই প্রবল গতিতে একটি পিক আপ ভ্যান আসে এবং ফুলিয়া বাস স্ট্যান্ডের কাছে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তি এবং আরও একজনকে পিষে দিয়ে চলে যায়।
স্থানীয়রাই পুলিশে খবর দেন। পুলিশ এসে ওই দুই জনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। দেহগুলিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে বলে জানা গিয়েছে। এদিকে ওই পিক আপ ভ্যানটি সেই মুহূর্তেই ঘটনাস্থল ছাড়ে। ঘাতক গাড়িটির সন্ধান করছে পুলিশ।
রাজ্য সরকারের তরফে পথ নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার জন্য একাধিক প্রচার কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ’-এর মতো উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু, তা সত্ত্বেও জাতীয় সড়কে বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোর দৃশ্য বারবার উঠে এসেছে।
কিছুদিন আগেই নদিয়ার শান্তিপুরে কারিগত পাড়া এলাকায় সুরেশ আনসারী নামক এক যুবকের পথ দুর্ঘটনায় প্রাণ গিয়েছে। বাইক চালানোর সময় হেলমেট মাথায় ছিল না বছর ২১-এর সুরেশের। পাশাপাশি বাইকের গতিও অনেক বেশি ছিল বলে জানা যাচ্ছে। মোটরসাইকেলের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে একটি গাছে ধাক্কা দেন তিনি। তাঁর বাইকের পেছনে ছিল অপর এক যুবক। তাঁর মাথাতেও হেলমেট ছিল না। এই দুই যুবককে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক সুরেশকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
পুলিশ প্রশাসনের একাংশের কথায়, ‘পথ নিরাপত্তার জন্য লাগাতার প্রচার চালানো হচ্ছে। বিভিন্ন কর্মসূচি, প্রচার অভিযানের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও সচেতনতামূলক পোস্ট করা হচ্ছে। এই ধরনের দুর্ঘটনা ঠেকানোর জন্য সাধারণ মানুষকে পর্যাপ্ত সচেতন হতে হবে।