দিঘায় মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ল একটি বিরাট আকারের কইভোলা। মাছটির ওজন প্রায় দুই ক্যুইন্টাল। শনিবার দিঘার মোহনায় মাছটি বিক্রি হয়েছে ৭২ হাজার টাকায়। স্বাভাবিকভাবেই খুশি বিক্রেতা থেকে শুরু করে মৎস্যজীবীরা।কয়েকদিন আগেই সমুদ্রে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা উঠেছে। তারপরেই মাছের সন্ধানে সমুদ্রে পাড়ি দিয়েছেন বহু মৎস্যজীবী। বর্ষায় সেভাবে জালে ইলিশ না ওঠায় চিন্তিত মৎস্যজীবীদের একাংশ। কিন্তু, এবার দিঘায় মৎস্যজীবীদের জালে বিরাট আকারের কইভোলা ধরা পড়ল। স্বাভাবিকভাবেই খুশি মৎস্যজীবীরা। ওডিশার একটি ট্রলারে মাছটি ধরা পড়ে এবং ভুবনচন্দ্র বেরার কাঁটায় মাছটি নিলাম হয়েছে।
ভুবনচন্দ্র বেরা বলেন, 'মাছটি নিয়ে বিস্তর উৎসাহ ছিল। এই মাছ খেতেও অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। ৭৫ হাজার টাকায় তা বিক্রি হয়েছে।' কয়েক মাস আগেও দিঘায় মৎস্যজীবীদের জালে উঠেছিল একটি তেলিয়া ভোলা। ওই মাছটির ওজন ছিল ১৮ কেজি। তা ওঠে কাঁথি থানার দু'নম্বর ব্লকের বাসিন্দা সুভাষ জানার ট্রলারে। মাছটিকে দেখতে ভিড় জমিয়েছিলেন পর্যটকরা।
গত ১১ জুলাই ১১ কেজি ওজনের একটি তেলিয়া ভোলা মাছ পাওয়া গিয়েছিল দিঘার সমুদ্রে। তা বিক্রি হয়েছিল আড়াই লাখ টাকায়। তেলিয়া ভোলা মাছের পটকা থেকে বিশেষ ওষুধ তৈরি হয়। তাই সাধারণত এই ধরনের মাছ অনেকটাই দামে বিক্রি হয়।
ইলিশের দেখা নাই!
বর্ষায় সেভাবে মৎস্যজীবীদের জালে ধরা পড়ছে না ইলিশ। এতেই চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তাঁদের কপালে। দিঘায় বড় ইলিশ না পাওয়া যাওয়ায় মন ভার পর্যটকদের একাংশের। মৎস্যজীবীদের একাংশের কথায়, সেভাবে বৃষ্টি না হওয়ার কারণে ইলিশ জালে ধরা দিচ্ছে না। যেগুলি জালে উঠছে, সেগুলি আকারে অনেকটাই ছোট। ফলে তাঁরা যেমন দাম পাচ্ছেন না, তেমনই খুশি নন ক্রেতারাও।
প্রসঙ্গত, ডিআরডিও-র পরীক্ষার জন্য ১৭ থেকে ১৯ জুলাই এবং ২৪ থেকে ২৬ জুলাই মৎস্যজীবীদের দিঘার সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সূত্রের খবর, জুনপুট থেকে মিশাইল উৎক্ষেপণের ফ্লাইট ট্রায়ালের জন্যই এই নির্দেশ। যদিও সমুদ্রে মাছ ধরা বন্ধ থাকলে পেটে টান পড়বে, এই দাবিতে আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মৎস্যজীবী সংগঠনগুলি।
জুনপুট ভূমিরক্ষা কমিটি মিশাইল উৎক্ষেপণ কেন্দ্র তৈরির পরিকল্পনা বাতিলের দাবি জানিয়ে কাঁথি ১ বিডিওর কাছে ডেপুটেশনও জমা দিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর মৎস্যজীবী ফোরামের পক্ষ থেকেও এই মিশাইল উৎক্ষেপণ কেন্দ্র তৈরি বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে।