• জাতিগত শংসাপত্র জাল করে ভোটে লড়াই, দুর্নীতির অভিযোগে তৃণমূল নেত্রীর পঞ্চায়েত সদস্যপদ বাতিল ...
    আজকাল | ১৪ জুলাই ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: জাতিগত শংসাপত্র জাল করে পঞ্চায়েত ভোটে জেতার পর সেই শংসাপত্র জাল প্রমাণিত হওয়ায় পঞ্চায়েতের সদস্যপদ গেল তৃণমূলের এক নেতার। ঘটনাটি ঘটেছে মুর্শিদাবাদের ফরাক্কা ব্লকের বেওয়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে। জঙ্গিপুরের মহকুমা শাসক ইতিমধ্যেই রেখা খাতুন নামে ওই পঞ্চায়েত সদস্যার সদস্যপদ বাতিলের চিঠি সংশ্লিষ্ট সকল আধিকারিককে পাঠিয়ে দিয়েছেন।

    গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ১৭ আসন বিশিষ্ট বেওয়া-২ দুই গ্রাম পঞ্চায়েতে ১২ টি আসন থেকে জয়ী হন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীরা। তিনটি আসন থেকে জয়ী হন সিপিএম প্রার্থীরা, একটি আসনে জয়ী হন নির্দল প্রার্থী এবং একটি আসন থেকে জয়লাভ করেন বিজেপি প্রার্থী। পরে সিপিএম থেকে একজন সদস্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন।

    পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফলের প্রকাশ হয়ে যাওয়ার কিছুদিন পর সিপিআইএমের তিলডাঙা শাখা কমিটির সম্পাদক শাকির শেখ তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা রেখা খাতুনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, তিনি তাঁর জাতিগত শংসাপত্র জাল করে পঞ্চায়েত নির্বাচনে লড়েছিলেন এবং সংরক্ষিত আসনে জয়লাভ করেছেন। এরপর তিনি কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন এবং কোর্টের নির্দেশে রেখা খাতুনকে 'শোকজ' করে জেলা প্রশাসনের তরফে এই ঘটনার শুনানি শুরু হয়।

    শাকিল বলেন, 'রেখা খাতুন আদতে ঝাড়খণ্ডের একটি গ্রামের বাসিন্দা। প্রায় ৭-৮ বছর আগে তিলডাঙা গ্রামে তাঁর বিয়ে হয়েছে। ওই পঞ্চায়েত সদস্যার দুটি জাতিগত শংসাপত্র রয়েছে। একটি শংসাপত্রে তাঁর বাবার নাম রয়েছে গিয়াসউদ্দিন শেখ এবং অপরটিতে ধর্মডাঙা গ্রামের বাসিন্দা জনৈক গিয়াসউদ্দিন মোমিনকে তাঁর বাবা বলে দেখানো হয়েছে।'

    তিনি বলেন, 'আমি কলকাতা হাইকোর্টে এই ঘটনাটি নিয়ে মামলা করার পর প্রশাসন তদন্ত শুরু করে। এরপর শুনানির জন্য রেখা খাতুনকে মহাকুমা শাসকের অফিসে ডাকা হলেও তিনি সেখানে হাজির হননি। শনিবার আমি জানতে পেরেছি রেখা খাতুনের জাতিগত শংসাপত্রটি জাল প্রমাণিত হওয়ায় মহকুমাশাসক তাঁর পঞ্চায়েত সদস্যপদ বাতিল করে দিয়েছেন।'

    অন্যদিকে অভিযুক্ত পঞ্চায়েত সদস্যা রেখা খাতুন বলেন, 'ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়টি আমি দলকে জানিয়েছি। দল যা করার করবে। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এক ব্যক্তি আমার জাতিগত শংসাপত্রটি তৈরি করে দিয়েছিল। সে আমাকে ফাঁসিয়েছে। আমি কোনও দুর্নীতি করিনি।'

    বেওয়া-২ গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূল প্রধান রোজিনা বিবি বলেন, 'দল গোটা ঘটনাটি জানে। আমরা কোনও রকম দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিই না। তবে ওই পঞ্চায়েত সদস্যা বেশ কিছুদিন ধরেই অফিসে আসেন না।'
  • Link to this news (আজকাল)