• চা গাছের নীচে ঘাপটি মেরে পড়েছিল বিশাল অজগর! শ্রমিকেরা তখন কাজ করছিলেন বাগানে...
    ২৪ ঘন্টা | ১৪ জুলাই ২০২৪
  • অরূপ বসাক: রবিবার মালবাজার মহকুমার  নাগরাকাটা ব্লকের বামনডাঙা চা-বাগানের ফ্যাক্টরির সামনে বেঁধে রাখা হল ১৩ ফুট লম্বা এক অজগর সাপকে। পরে সেই অজগর সাপটিকে উদ্ধার করে খুনিয়া রেঞ্জের বনকর্মীরা। ঘটনায় ওই এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। 

    জানা গিয়েছে, এদিন  চা-বাগানের  বাইশ নম্বর সেকশনে শ্রমিকেরা যখন চা-পাতা তোলার কাজ করছিলেন তখন বিশাল ওই অজগর সাপটিকে তাঁরা চা-গাছের তলায় বসে থাকতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে আতঙ্কে শ্রমিকেরা সেখান থেকে সরে পড়েন। প্রায় আধঘণ্টা ওই সেকশনে কাজ বন্ধ থাকে। এরপর বেশ কয়েকজন শ্রমিক সাহস করে সাপটিকে ধরে চা-বাগানের ফ্যাক্টরির সামনে এনে বেঁধে রাখেন! ঘটনার খবর পেয়ে বনকর্মীরা এসে সাপটিকে বাঁধনমুক্ত করে নিয়ে যান।

    চা-বাগান চত্বরে বন্যপ্রাণীর হামলার যেন শেষ নেই। হাতি-চিতাবাঘের পরে সেখানে বুনো শুয়োরের হামলাও হয়েছে। আর এবার আবার অজগর! 

    কদিন আগে বুনো শুয়োরের হামলায় এখানে আহত হয়েছেন এক মহিলা চা-শ্রমিক। ঘটনায় ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি ঘটেছিল মালবাজার মহকুমার নাগরাকাটা ব্লকের হিলা চা-বাগানে।

    জানা গিয়েছিল, চা-বাগানের চার নং লাইনের বাসিন্দা ৩৫ বছর বয়সী সারিতা ওঁরাও নামের এক মহিলা চা-শ্রমিক অন্যান্যদের সঙ্গে লোয়ার ডিভিশন ফাইভ সি-সেকশনে চা-পাতা তোলার কাজ করছিলেন। সেই সময় হঠাৎই একটি বুনো শুয়োর তাঁর উপর হামলা চালায়। জন্তুটি মহিলার পেট, কোমর-সহ বিভিন্ন অংশে দাঁত দিয়ে আঘাত  করে। অন্য শ্রমিকেরা হইহই করে ওঠেন। শ্রমিকদের চিৎকারে শুয়োরটি মহিলাকে ছেড়ে চা-বাগানের মধ্যে লুকিয়ে পড়ে। শ্রমিকরা আহত ওই মহিলাকে উদ্ধার করে সুলকাপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসার পরে মাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে রেফার করা হয় তাঁকে।

    এর ক'দিন আগে বাঁকুড়ায় শূকরের কামড়ে মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটার খবর মিলেছিল। মৃতার নাম করুণা কর্মকার (৮৪)। বাঁকুড়া পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডের লালবাজার এলাকার ঘটনা। বাড়িতে একাই থাকতেন 'অসুস্থ' বৃদ্ধা করুণা কর্মকার। পাড়ার লোকেরাই তাঁকে দেখাশোনা করতেন। তবে তাঁর ছেলে ও মেয়ে এসে মাঝে-মধ্যে দেখে যেতেন তাঁকে। 'অসুস্থ' ওই বৃদ্ধার 'শূকরের কামড়েই মৃত্যু হয়েছে' বলে দাবি করা হয়েছিল স্থানীয়দের তরফে। স্থানীয় কাউন্সিলর অভিজিৎ দত্ত-ও বিষয়টি কার্যত স্বীকার করে নিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, এই এলাকা 'শূকরের আখড়ায় পরিণত হয়েছে, লালবাজারের প্রতিটি গলিতেই শূকরের অবাধ বিচরণ'। যে ঘটনা আগে কখনও হয়নি সেটাই হল, শূকরের কামড়ে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হল! তিনি জানান, বেআইনি ভাবে শূকর চাষের জন্যই সমস্যা বাড়ছে। পুরসভার তরফে একাধিকবার এ বিষয়ে মাইকিং করা হয়েছে, তবে পরিকাঠামোর অভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। ওই এলাকার বাসিন্দারা জানিয়েছিলেন, পাশের বস্তিতে শুয়োর চাষ করা হয়েছে, সেই শুয়োর যখন-তখন বাড়িতে ঢুকে পড়ছে। পুর-এলাকা শুয়োরের জ্বালায় অতিষ্ট। ওই বৃদ্ধার শুয়োরোর আক্রমণেই মৃত্যু হয়েছে দাবি করে তাঁরা বলেছিলেন, বাড়ির বাইরে শিশুদের একা ছাড়া যায় না। বিষয়টি পুরসভাকে জানালেও কোনও কাজ হয়নি বলে তাঁদের অভিযোগ।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)