• এবার গঙ্গাসাগর সৈকতে ভাঙন! সমুদ্রে কি তলিয়ে যাবে কপিলমুনি আশ্রম?
    ২৪ ঘন্টা | ১৪ জুলাই ২০২৪
  • নকিব উদ্দিন গাজি: ভয়াবহ ভাঙনের কবলে বাংলা তথা ভারতের অন্যতম তীর্থ পর্যটন কেন্দ্র গঙ্গাসাগর। ফলে এই গঙ্গাসাগরের কপিল মুনির আশ্রম নিয়েও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। অমাবস্যার কোটালের জেরে কপিল মুনি মন্দির-সংলগ্ন ঢালাই রাস্তা ভেঙে পড়ল। গঙ্গাসাগরের সমুদ্রতীরে দেখা দিয়েছে বড়সড় ধ্বস।

    গত শুক্রবার ছিল অমাবস্যার কোটাল। তারপর দ্বিতীয়া ও তৃতীয়ায় ধীরে ধীরে বেড়েছে সমুদ্রের জল। উত্তাল হয়ে পড়েছে গঙ্গাসাগরের সমুদ্র। সমুদ্রের জলের ধাক্কা এসে লাগছে সমুদ্রের পাশে থাকা কংক্রিটের ঢালাই রাস্তাতেও। কপিলমুনির আশ্রমের সামনে দুই থেকে পাঁচ নম্বর স্নানঘাটের রাস্তা এর মধ্যেই বেহাল। আর অমাবস্যার কোটালে সমুদ্রের জলের ধাক্কায় ভেঙে পড়ল চার নম্বর স্নান ঘাটের ঢালাই রাস্তা।

    ইতিমধ্যেই ভগ্ন এলাকা ব্যারিকেড করে ঘিরে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। আতঙ্কিত ব্যবসায়ী থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গঙ্গাসাগর মেলার সময় কয়েক কোটি টাকা খরচে অস্থায়ী নদী বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছিল। পুনরায় নদীগর্ভে তলিয়ে যায় সেই অস্থায়ী বাঁধ-সহ ঢালাই রাস্তা। স্থায়ী নদী বাঁধ না হলে বিগত দিনে কপিল মুনির মন্দিরকে রক্ষা করা যাবে না। কপিলমুনি মন্দিরকে রক্ষা করতে হলে অবিলম্বে স্থায়ী কংক্রিটের বাঁধ নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের।

    কথায় বলে, সব তীর্থ বারাবার , গঙ্গাসাগর একবার! এর দুর্গমতার কারণেই এটা বলা হত। এখন দুর্গমতা কমেছে। কিন্তু মানুষের আবেগ তো কমেনি। বরং বেড়েছে। আজও সেই পৌরাণিক কাহিনি মানুষকে টানে। সগররাজার ষাটহাজার পুত্রকে ভস্ম করে দেওয়া এবং পরে ভগীরথের গঙ্গা-আনয়ন ও পুণ্যতোয়ার স্পর্শে তাঁদের প্রাণ ফিরে পাওয়ার ঘটনা মানুষকে আজও টেনে নিয়ে যায় কপিলমুনির আশ্রমের দিকে। 

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)