সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা ভোটের ফলপ্রকাশের পর থেকে বিজেপি কর্মীরা আক্রান্ত হচ্ছেন বলে অভিযোগে সরব বঙ্গ নেতৃত্ব। তার প্রতিবাদে ‘নির্যাতিত’দের নিয়ে রাজভবনের সামনে ধরনায় বসতে চেয়ে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী আইন-আদালত কম করেননি। অবশেষে কলকাতা হাই কোর্ট বিশেষ শর্তসাপেক্ষে তাঁকে ধরনার অনুমতি দিয়েছে। সেইমতো আজ, রবিবার সকাল ১০ টা নাগাদ ধরনায় বসেন শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গী ‘দলবদলু’ তাপস রায়, কৌস্তভ বাগচী। এছাড়া রুদ্রনীল ঘোষ, অসীম সরকার-সহ দলের বেশ কয়েকজন নেতাকেও দেখা গেল ধরনামঞ্চে। আর আদালতের নির্দেশ মেনে ৩০০ জন দলীয় কর্মী যোগ দিয়েছেন ধরনায়।
এই চত্বরে ধরনার অনুমতি পেতে অবশ্য বিরোধী দলনেতাকে বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছে। রাজভবনের সামনে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় কলকাতা পুলিশ প্রথমে ধরনার (Dharna) অনুমতি দেয়নি। পুলিশের সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তাঁর যুক্তি ছিল, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও গত বছর অক্টোবর রাজভবনের সামনে পাঁচ দিন ধরনায় বসেছিলেন। সেই সময় পুলিশের তরফে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়নি। শুধুমাত্র বিজেপি নেতা বলেই শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না, এমনই দাবি করা হয় গেরুয়া শিবিরের তরফে।
শেষমেশ আদালতের অনুমতি পেয়ে শর্ত মেনে রাজভবনের (Raj Bhawan) সামনে আজ শুরু হয় ধরনা। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টো পর্যন্ত এই চত্বরে ধরনা চলবে বিজেপির। ধরনায় যোগ দেওয়ার বিজেপি কর্মীদের সকলের হাতে পোস্টার। তাতে পশ্চিমবঙ্গের গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিয়ে নেতিবাচক বার্তা লেখা, সেইসঙ্গে অত্যাচারিত বিজেপি কর্মীদের ছবিও।