• রক্ত দিলেন রচনা, হুগলিবাসীর জন্য বিশেষ প্রতিশ্রুতি সাংসদের
    এই সময় | ১৪ জুলাই ২০২৪
  • রবিবার চন্দননগরে তৃণমূলের আয়োজিত রক্তদান শিবিরে অংশ নেন হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন সাংসদকে সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী তথা চন্দননগরের বিধায়ক ইন্দ্রনীল সেন, চন্দননগরের মেয়র রাম চক্রবর্তী, ডেপুটি মেয়র মুন্না আগরওয়াল। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন রক্তদান করেন। তিনি বলেন, 'রক্তদান শিবিরের আয়োজন অত্যন্ত ভালো প্রয়াস। কারণ আমরা জানি একটা মানুষ অসুস্থ হলে আজকের দিনে রক্ত পাওয়া অত্যন্ত কঠিন। আমি নিজের লোকজনদের দিয়ে দেখেছি। সারারাত গাড়ি নিয়ে দৌড়ালেও রক্ত পাওয়া যায় না অনেকসময়।তাই বলব রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা ভীষণ প্রয়োজন।'এদিন নিজেও রক্ত দেন সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'চন্দননগরের জন্য সব সময় কিছু কাজ করার জন্য মুখিয়ে থাকব। হুগলি এখন আমার দ্বিতীয় বাড়ি। আমাকে যখনই আপনারা ডাকবেন, আমি আসব।' এদিনের অনুষ্ঠানে শহরের কৃতী পড়ুয়াদের সম্বর্ধনা দেওয়া হয়। মেয়েদের আরও উৎসাহিত করেন রচনা।

    উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই হুগলির দাদপুরের হারিট হাই স্কুলের বিজ্ঞান বিভাগের উদ্বোধন করেন হুগলির সাংসদ রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'বিজ্ঞান বিভাগ চালু হয়েছে বলে এসেছি। সবসময় বড়দের অনুষ্ঠানে যাই। কচিকাঁচাদের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার ইচ্ছে ছিল। তাই এসেছি। ছোটরা খুব খুশি। সকলে ভীষণ আনন্দিত।'

    পাশাপাশি এলাকার উন্নয়নের জন্য যাবতীয় কাজ করবেন বলে জানান তিনি। স্থানীয় বিধায়ক তপন দাশগুপ্ত জানিয়েছিলেন, বিজ্ঞান বিভাগের ল্যাবরেটরিটি তৈরি করার জন্য বিধায়ক তহবিল থেকে ৩ লাখ টাকা দেওয়া হয়েছিল। পরে আরও পাঁচ লাখ টাকা দেওয়ার বিষয়েও জানান তিনি। স্কুলের প্রধান শিক্ষক রতন কুমার পালের কথায়, ' স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগ না থাকার কারণে একাদশ শ্রেণিতে অন্য স্কুলে চলে যেতেন অনেকেই। আজ বিজ্ঞান বিভাগটি চালু হয়েছে। আমরা সকলেই খুশি।'

    প্রসঙ্গত, ২০২৪ সালের বিধানসভা নির্বাচনে লকেট চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে টলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় মুখ রচনা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে প্রার্থী করেছিল তৃণমূল। রাজনীতিতে নবাগতা রচনা প্রচার ময়দানে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন প্রথম দিন থেকেই।

    তাঁর বেশ কিছু মন্তব্য নিয়ে ট্রোল হলেও তাতে বিশেষ আমল দেননি তিনি। বরং তিনি বারবার বলে এসেছেন, যে কোনও ধরনের প্রচারই খারাপ নয়। মানুষের সেবা করার জন্য সুযোগ চেয়েছিলেন তিনি। ২০২৪ সালের লোকসভা ভোটে তাঁকে সেই সুযোগ দেন স্থানীয় মানুষজন।
  • Link to this news (এই সময়)