• অবশেষে মেধার জয়! PHD করতে পারবেন ‘মাওবাদী’ অর্ণব, বদলি করা হল বর্ধমান জেলে
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৪ জুলাই ২০২৪
  • অবশেষে আশার আলো। জেলবন্দি মাওবাদী অর্ণব দামের পিএইচডি করার ক্ষেত্রে আপাতত বাধা দূর হয়ে গেল। হুগলি জেল থেকে বর্ধমান জেলে স্থানান্তরিত করা হল অর্ণবকে। সূত্রের খবর, সোমবারই বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবেন তিনি। সেকারণেই তাঁকে বর্ধমান জেলে বদলি করা হয়েছে। 

    এদিকে অর্ণব যাতে পিএইচডি করতে পারেন সেব্যাপারে কুণাল ঘোষও উদ্যোগ নিয়েছিলেন। এমনকী বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে তিনি ফোনেও কথা বলেন।

     শেষ পর্যন্ত চিড়ে ভিজেছে। রবিবার একেবারে কড়া নিরাপত্তার মধ্য়ে অর্ণবকে হুগলি জেল থেকে বের করা হয়। এরপর তাঁকে বর্ধমান জেলে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। 

    প্রসঙ্গত ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পশ্চিম মেদিনীপুরের শিলদায় ইএফআর ক্যাম্পে হামলা চালায় মাওবাদীরা। মৃত্যু হয় ২৪ জন জওয়ানের। পাল্টা গুলিতে মৃত্যু হয় পাঁচজন মাওবাদীর। এই হামলার ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত ছিলেন অর্ণব দাম ওরফে বিক্রম।

    এদিকে সূত্রের খবর, সোমবার বিকেল ৩টের সময় পিএইডির জন্য অর্ণবের কাউন্সেলিং হবে। এরপরই তিনি ভর্তি হতে পারবেন বলেই মনে করা হচ্ছে। 

    এদিকে গত ২৬ জুন কড়া পুলিশ পাহারায় অর্ণবকে নিয়ে আসা হয়েছিল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে। ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন তিনি। এরপর ৫ জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ মেধাতালিকা প্রকাশ করে। দেখা যায় এই বিভাগে একেবারে প্রথম হয়েছেন বিক্রম। তার পেছনে রয়েছেন ২৪৯জন। 

    এরপর শুরু হয় নয়া জট। ৯ জুলাই ছিল কাউন্সেলিংয়ের তারিখ। আর তার আগের দিন বিশ্ববিদ্যালয় জানিয়ে দেয় কাউন্সেলিং স্থগিত। এদিকে অর্ণবের জন্য মাসুল গুনছিলেন অন্যান্যরা। অন্যদিকে অর্ণবও চান যাতে তাঁকে সুযোগ দেওয়া হয়। এমনকী অনশনে নামার কথাও ভাবছিলেন তিনি। 

    এরপর এই গোটা প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করেন কুণাল। তিনি জানিয়ে দেন অর্ণব মেধাবী। তিনি যোগ্য। তাঁকে পিএইচডি করতে দিতে হবে।  বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও জানায়, জলঘোলা করা হচ্ছে। এটা তো শিক্ষাঙ্গন। সেখানে তো ছাত্রছাত্রীরাই পড়বেন। তবে কয়েকটি ক্ষেত্রে প্রশ্ন তুলেছিলেন তাঁরা। মূলত অর্ণবের আসা যাওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তার বিষয়টি যাতে সুনিশ্চিত করা যায় সেকথা বলেছিলেন তাঁরা। 

    এর আগে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য গৌতম চন্দ জানিয়েছিলেন, আমাদের এখানে ৬ মাসের একটা কোর্স ওয়ার্ক হয়। সেটা অফলাইনে হয়। সেক্ষেত্রে হুগলি সংশোধনাগারের ছাত্র মেধা তালিকায় যার নাম প্রথমে তিনি কীভাবে যাতায়াত করবেন সে ব্য়াপারে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে। তাই কাউন্সেলিং স্থগিত রাখা হয়।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)