• ঘোলাটে পানীয় জল, ক্ষোভ একাধিক পুর এলাকায়, কবে মিটবে সমস্যা?
    এই সময় | ১৫ জুলাই ২০২৪
  • বারাসত, নিউ ব্যারাকপুর ও মধ্যমগ্রাম পুরসভায় বেশ কিছু জায়গায় পানীয় জল নিয়ে তৈরি হয়েছে সমস্যা। অনেক জায়গাতেই ঘোলা জল সরবরাহ করা হচ্ছে বলে দাবি স্থানীয়দের। জল পান করে অসুস্থ হচ্ছেন অনেকে বলে দাবি করছেন স্থানীয়রা। তবে, ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের পাইপ ফেটে বিপত্তি ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুরসভা। তবে, পুর নাগরিকদের পরিশোধিত জল পাঠানো হচ্ছে, আতঙ্কের কিছু নেই বলেই দাবি মধ্যমগ্রাম পুরপ্রধানের।ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের পাইপ ফেটে বিপত্তি। তিন পুরসভার কয়েক হাজার মানুষ পড়েছেন চরম সমস্যায়। গঙ্গার জল ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টে পরিশোধন করে ছাড়া হলেও উপভোক্ত তারা সেই জল পাচ্ছেন অনেকটাই ঘোলা। ফলে তা পান করার অযোগ্য বলেই দাবি এই বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষদের। কিছু ক্ষেত্রে এই জল পান করে শারীরিক সমস্যাও দেখা দিচ্ছে ছোট শিশু থেকে শুরু করে বয়স্কদের বলেও দাবি। আর এই বিপত্তির মূলে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের পাইপ ফেটে যাওয়া। সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন মধ্যমগ্রাম পুরসভার পুর প্রধান নিমাই ঘোষও।

    বারাসাত ও নিউ ব্যারাকপুর পুরসভা এলাকার মানুষদেরও এই একই সমস্যা সম্মুখীন হতে হচ্ছে। জানা যায়, মধ্যমগ্রাম ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্টের পাইপ ফেটে বারাসাত, মধ্যমগ্রাম ও নিউ বারাকপুর তিনটি পুরসভা এলাকার মানুষের জল নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ পুরসভার ট্যাপ লাইনে যে জল মানুষের বাড়িতে দেওয়া হচ্ছে তা পানীয় যোগ্য নয়। দীর্ঘ ৭-৮ দিন ধরে একই সমস্যায় ভুগছে সাধারণ মানুষেরা। তবে এ নিয়ে সাধারণ মানুষকে কোনওভাবে সচেতন করা হয়নি বলে অভিযোগ বারাসাত ও মধ্যমগ্রাম পুরসভা এলাকার বাসিন্দাদের। এই জল দিয়েই সাধারণ মানুষের প্রতিদিনের সমস্ত কাজকর্ম চলে। এই জল খেয়ে অসুস্থ হচ্ছে বাচ্চারা এমনটাই অভিযোগ এলাকার বাসিন্দাদের।

    মধ্যমগ্রাম পুরসভার পুরো প্রধান নিমাই ঘোষ জানিয়েছেন, কয়েকদিন ধরে এই সমস্যা চলছে। দ্রুততার সঙ্গে পাইপ লাইন মেরামতির কাজ করা হচ্ছে। তবে এই সমস্যার জন্য তিনটে পুরসভাকেই সমস্যায় পড়তে হয়েছে বলেও তিনি জানান। তবে, আগামী দু'দিনের মধ্যেই সমস্যার সমাধান হবে বলে জানিয়েছেন মধ্যমগ্রাম পুরসভার পুরপ্রধান নিমাই ঘোষ। যদিও, নিউ বারাকপুর পুরসভার পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই মাইকিং করে সাধারণ মানুষকে সচেতন করা হয়েছে। এই জল যন্ত্রণা থেকে কতদিনে রেহাই পায় সাধারণ মানুষ তারই অপেক্ষায় রয়েছে মধ্যমগ্রাম, বারাসাত ও নিউ ব্যারাকপুরের বাসিন্দারা।
  • Link to this news (এই সময়)