• ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের দিন বড় আন্দোলনের ডাক শুভেন্দুর, রাস্তায় নামবে বিজেপি...
    আজকাল | ১৫ জুলাই ২০২৪
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: লোকসভা নির্বাচন এবং বিধানসভা উপনির্বাচন দুই ভোটেই বাংলায় পর্যদুস্ত হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর এবার ২০২৬ সালের বিধানসভা ভোটের আগে নিজেদের আরও শক্তিশালী করে তুলতে নয়া কর্মসূচির ডাক দিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। রবিবার রাজভবনের সামনে ধর্না ছিল শুভেন্দুর। সেই মঞ্চ থেকেই ২১ জুলাই গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন করার ডাক দিলেন তিনি। উল্লেখ্য, ২১ জুলাই ধর্মতলায় শহীদ সমাবেশ করে থাকে তৃণমূল। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বার্তা দেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি। আর সেই দিনই ফের রাস্তায় নামার ডাক দিলেন বিরোধী দলনেতা।

    এদিন রাজভবনের সামনে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু বলেন, 'এই উপভোটে যাঁরা ভোট দিতে পারেনি, যাঁরা আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের বাড়িতে বিরোধী দলনেতা ও বিধায়করা পরিদর্শন করবেন। আগামী ২১ তারিখ গণতন্ত্র হত্যা দিবস হবে। আর ২২ তারিখে সিইএসসি ঘেরাও করব। আর ১৭ তারিখ দলের কাছে প্রস্তাব দেব নবান্ন অভিযানের।' ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগে আক্রান্তদের নিয়ে জুনের শেষেই রাজভবনের সামনে ধর্নায় বসতে চেয়েছিলেন শুভেন্দু। রাজভবন চত্বরে ১৪৪ ধারা জারি থাকায় কলকাতা পুলিশ সেই অনুমতি দেয়নি। যা ঘিরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এরপর কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা। শেষমেশ রাজভবন চত্বরে শুভেন্দুদের ধর্নার অনুমতি দেয় রাজ্য সরকার।

    তারপরেও দিনক্ষণ নিয়ে সমস্যা চলছিলই। পরপর দুই রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির 'মন কি বাত' অনুষ্ঠান, রথযাত্রা থাকায় কর্মসূচি করতে রাজি হয়নি বিজেপি। ১৪ জুলাইয়ের কথা আদালতে জানান রাজ্যের আইনজীবী। এরপরই শর্তসাপেক্ষ ধর্নার অনুমতি দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। রবিবার সকাল ১০টায় ধর্নামঞ্চে উপস্থিত হন শুভেন্দু। ধর্নায় উপস্থিত ছিলেন ভোট পরবর্তী হিংসায় আক্রান্তরাও। হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ৩০০ জন উপস্থিত ছিলেন অবস্থান বিক্ষোভে। শুভেন্দুর সঙ্গে মঞ্চে ছিলেন তাপস রায়, রুদ্রনীল ঘোষ, অসীম সরকার, কৌস্তভ বাগচীরা।
  • Link to this news (আজকাল)