সংবাদদাতা, ডোমকল: স্কুলে যাওয়ার রাস্তায় জমেছে বৃষ্টির জল। পিঠে ব্যাগ নিয়ে সেই জল পেরিয়ে স্কুলে যেতে হচ্ছে পড়ুয়া থেকে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের। রানিনগরের ৭৭ নম্বর কূপতলা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রবেশের রাস্তার চিত্রটা এই রকমই। পড়ুয়াদের চরম সমস্যায় পড়তে হয়। ওই রাস্তা দিয়েই পাশের অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রেও পৌঁছতে হয় মা ও শিশুদের। রাস্তায় জল জমে থাকার কারণে তাঁদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
রানিনগরের শেখপাড়া-সাগরপাড়া সড়কের ধারে কূপতলা গ্রামে অবস্থিত স্কুলটি। মূল সড়ক থেকে স্কুলের দূরত্ব ১০০মিটারের কিছুটা বেশি। দীর্ঘদিন ধরে সংযোগকারী ওই রাস্তাটি বেহাল হয়ে রয়েছে বলে অভিযোগ। দু’-এক পশলা বৃষ্টিতেই মাটির রাস্তাটি পুরোপুরিভাবে জলের তলায় চলে যায়। সেই জল কাদা পেরিয়েই কচিকাঁচাদের স্কুলে যেতে হয়। প্রশাসনকে জানিয়েও সমস্যার সমাধান হয়নি বলে অভিযোগ।
জানা গিয়েছে, গ্রামের একজনের জমির উপর দিয়ে ওই রাস্তা গিয়েছে। রাস্তা করার জন্য তিনি ওই জায়গাটি দিয়েছিলেন। বর্তমানে পরিবারের কয়েকজন মালিকানা পুনরায় দাবি করায় সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। সেন্টু শেখ নামে এক বাসিন্দা বলেন, ১০ বছরের বেশি সময় ধরে এই অবস্থা চলছে। জমিওয়ালা রাস্তা তৈরিতে বাধা দিচ্ছে। সামান্য বৃষ্টিতেই রাস্তায় জল জমে যায়। পড়ুয়াদের ভীষণ সমস্যায় পড়তে হয়। দ্রুত সমস্যার সমাধানের দাবি জানাচ্ছি।
স্কুলের টিআইসি সৌমিত্র সিনহা বলেন, আমি ২০১৮ সালে এই স্কুলে যোগ দিয়েছিলাম। তার আগে থেকেই এই সমস্যা। জমা জলের কারণে বাচ্চাদের স্কুলে আসতে সমস্যা হয়। রাস্তাটিতে যাতে জল না জমে তার ব্যবস্থা করে দিলে খুবই ভালো হয়।
এবিষয়ে কাতলামারি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান মাফরোজা খাতুনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি। রানিনগর-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুদ্দুস আলি বলেন, শুনেছি ওই রাস্তাটি নিয়ে একটি মামলা চলছে। কিন্তু, ওই রাস্তার জন্য স্কুলের পড়ুয়া সহ আশেপাশের মানুষের যেহেতু সমস্যা হচ্ছে, তাই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করা হবে।