সংবাদদাতা, ঘাটাল: দাসপুর থানার এক সমবায় সমিতির নির্বাচনকে ঘিরে রবিবার সকাল থেকেই উত্তেজনা দেখা দেয়। দুপুরে ইটের আঘাতে এক ব্যক্তি গুরুতর জখম হন। এদিন সুলতাননগর-জোতগৌরাঙ্গ সমবায় সমিতির পরিচালন কমিটির নির্বাচনে ছাপ্পা ভোটের প্রতিবাদে মহিলারা ঝাঁটা-লাঠি নিয়ে ভোট বন্ধ করার জন্য রাস্তায় নেমে পড়েন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ঘটনাস্থলে র্যাফ নামাতে হয়। যদিও পুলিস জানিয়েছে, সকাল থেকেই এলাকায় উত্তেজনা ছিল। তবে হতাহতের কোনও খবর নেই। ঘটনাস্থলে পুলিস বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।
ওই সমবায়টি মহকুমার মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয়। এদিন ওই সমবায়ের মোট ৩১ জন প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য তৃণমূল ৩১টি, বিজেপি ১৭টি এবং সিপিএম সমবায় বাঁচাও কমিটির মাধ্যমে ৩১টি প্রার্থী দিয়েছে। ওই নির্বাচনকে ঘিরে ১০০ মিটারের মধ্যে বুথক্যাম্প বসাকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে টানটান উত্তেজনা ছিল। সেই সমস্যা পরে মিটে যায়। সিপিএম নেতা তথা দাসপুরের প্রাক্তন বিধায়ক সুনীল অধিকারী বলেন, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গে হার নিশ্চিত জানতে পেরে তৃণমূল ছাপ্পা দিতে শুরু করে। আমরা পুলিসকে জানাই। পুলিস সামনে থেকেও কোনও প্রতিবাদ করেনি। বরং পুলিসকে নিষ্ক্রিয় দেখে তৃণমূলের গুন্ডাবাহিনী গোপাল জানা নামে সিপিএমের এক সমর্থককে ইট ছুড়ে গুরুতর জখম করে। ওই ঘটনা দেখেই এলাকার মহিলারা ঝাঁটা-লাঠি নিয়ে রাস্তায় প্রতিবাদে নেমে পড়েন। মহিলা পুলিস গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে।
তৃণমূলের দাসপুর-১ ব্লক সভাপতি সুনীল ভৌমিক বলেন, বিরোধীরা ছাপ্পা বলে প্রচার না করতে পারলে ওদের মান-সম্মান থাকবে না। তাই মিথ্যে অভিযোগ করছে। যেখানে ছাপ্পার অভিযোগ তুলেছিল, সেই জোন থেকে বিজেপি জিতেছে। এটাই প্রমাণ করে ছাপ্পার অভিযোগ ভিত্তিহীন। বরং আমরা কয়েকটি আসনে এক-দু ভোটের ব্যবধানে হেরেছি। সেগুলো যাতে রিকাউন্টিং না হয়, তার দাবিতে সিপিএম-বিজেপি এক হয়ে ঘাটাল-মেচোগ্রাম রাস্তা অবরোধ করেছে। ওরা এদিন সকাল থেকেই ওইসব নাটক করছে। আমরা কোথাও নিয়ম ভাঙিনি। সমবায় বাঁচাও কমিটির লোকেরাই সকাল থেকে পায়ে পা তুলে গণ্ডগোল করার চেষ্টা করছিল। আমরা সেই ফাঁদে পা দিইনি। বিকেল ৫টা নাগাদ নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশ হয়। মোট ৩১টি আসনের মধ্যে তৃণমূল ১৫টি এবং সিপিএম ৯টি এবং বিজেপি ৭টি আসন পায়।