• হেরিটেজ তালিকাভুক্ত লম্বা দিঘি ঢেকেছে কচুরিপানায়
    বর্তমান | ১৫ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কোচবিহার: কোচবিহারকে রাজার শহরের পাশাপাশি দিঘির শহরও বলা হয়। শহরের মাঝে রাজআমলে খনন করা বিরাট বিরাট দিঘি রয়েছে। ঐতিহ্যে, আভিজাত্যে, সৌন্দর্যে যা অন্যন্য। কোচবিহারকে হেরিটেজ শহর হিসেবে তুলে ধরার কাজ শুরু হয়েছে। তারই অঙ্গ হিসেবে শহরের ঐতিহ্যবাহী লম্বা দিঘি বা যমুনা দিঘির পাড়ে বোর্ডও লাগানো হয়েছে। কিন্তু, সেই বোর্ড লাগানোই শেষ। দিঘিটি কচুরিপানা আর জলজ উদ্ভিদে সম্পূর্ণ ঢেকে গিয়েছে। কোচবিহারের মহারাজাদের হাত ধরে চালু হয়েছিল বড়দেবীর পুজো। সেই বড়দেবীর নাম অনুসারেই পাড়ার নাম দেবীবাড়ি। তারপাশেই এই লম্বা দিঘিতে প্রতিবছর বড়দেবীর প্রতিমা বিসর্জন হয়। সেদিক দিয়ে দেখতে গেলে এই দিঘিটির বিরাট তাৎপর্য রয়েছে। 


    কিন্তু, ঐতিহ্যবাহী এই দিঘিটির এখন বেহাল দশা। যা নিয়ে স্থানীয় মানুষের মধ্যেও যথেষ্ট ক্ষোভ রয়েছে। সন্ধ্যা নামলে দিঘির পশ্চিম পাড়ে অসামাজিক কার্যকলাপ হয় বলেও অভিযোগ। এই পরিস্থিতিতে স্থানীয় কাউন্সিলার ও পুরসভার চেয়ারম্যান দিঘিটি হেরিটেজের তালিকাভুক্ত বলে দাবি করেছেন। প্রশাসন হেরিটেজ তালিকাভুক্ত দিঘি হিসেবে এটির রক্ষণাবেক্ষণ করবে বলে জানা গিয়েছে। 


    স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এখন যা অবস্থা তা দেখে মনে হয় না যে এটি একটি ঐতিহ্যবাহী দিঘি। এই দিঘিতে আমাদের বড়দেবীর বিসর্জন হয়। যেভাবে দিঘি অবহেলায় রয়েছে তা সংস্কার দরকার। আমরা শুনেছি, লম্বা দিঘি হেরিটেজের তালিকায় রয়েছে। হেরিটেজ দিঘি হিসেবে সামনে ফলকও লাগানো হয়েছে। কিন্তু, আজ পর্যন্ত কোনও উদ্যোগ দেখলাম না। কচুরিপানায় ভরে রয়েছে। বাইরে থেকে অনেকেই এসে এই অবস্থা দেখে সমালোচনা করেন। স্থানীয় কাউন্সিলার, প্রশাসনের একটা দায়িত্ব থেকে যায়। কিন্তু, কেউই নজর দিচ্ছেন না। সন্ধ্যা নামলে দিঘির পশ্চিম পাড়ে অসামাজিক কার্যকলাপ হচ্ছে। এক পাড়ে প্রচুর জঞ্জাল পড়ে রয়েছে। সেদিকেও নজর দেওয়া উচিত। 


    ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার তৃণমূল কংগ্রেসের অভিজিৎ মজুমদার জানান, হেরিটেজের তালিকায় লম্বা দিঘি রয়েছে। মাঝে একবার দিঘি পরিষ্কার করা হয়েছিল। কিন্তু, তারপর বর্ষা নামায় আবার কচুরিপানায় ভরে গিয়েছে। ফের তা সাফাই করা হবে। পুরসভার চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, এটি হেরিটেজ দিঘি। শহরের সাতটি দিঘির সৌন্দর্যায়ন হবে। তারমধ্যে লম্বা দিঘি একটি। তবে কবে কাজ শুরু হবে তা জেলা প্রশাসন স্থির করবে।
  • Link to this news (বর্তমান)