রোগী উধাও, ৮ দিনেও খোঁজ না পেয়ে হাসপাতালে ভাঙচুর
বর্তমান | ১৫ জুলাই ২০২৪
সংবাদদাতা, পতিরাম: রাত দু’টোয় হাসপাতাল থেকে উধাও হয়েছিলেন রোগী। আটদিন পার হলেও খোঁজ মেলেনি। এদিকে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও পুলিসকে অভিযোগ জানিয়েও লাভ হচ্ছে না। অবশেষে হাসপাতালে ঢুকে তাণ্ডব চালাল রোগীর পরিবার।
রবিবার বিক্ষোভ দেখানোর সময় বালুরঘাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের ভিতরে ঢুকে পড়ে রোগীর পরিবার ও আত্মীয়রা। চেয়ার ভাঙচুর করার চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। বেশকিছু জায়গায় বাঁশ দিয়ে আঘাত করা হয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিল বালুরঘাট থানার বিশাল পুলিস বাহিনী ও কমব্যাট ফোর্স। তাণ্ডবের খবর পেয়ে আইসি শান্তিনাথ পাঁজা ছাড়াও ডিএসপি ট্রাফিক বিল্বমঙ্গল সাহা এবং ডিএসপি ডিইবি সঞ্জীব বিশ্বাসও ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। তাঁদের চেষ্টায় তাণ্ডব থামলেও দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ চলে। শেষে হাসপাতালের চিকিৎসক ও আধিকারিকরা এসে অভিযোগ শোনার পর বিক্ষোভকারীরা কিছুটা শান্ত হন।
পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, নিখোঁজ রোগী সুনীল ওরাওঁ বালুরঘাট ব্লকের মালঞ্চার একমাইল এলাকার বাসিন্দা। তাঁকে গত ৫ জুলাই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ৬ জুলাই রাতে হাসপাতাল থেকে উধাও হয়ে যান তিনি। পরিজনদের দাবি, ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা সত্ত্বেও সিকিউরিটি গার্ডের নজর এড়িয়ে রোগী নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার দায় হাসপাতালের। সিসি ক্যামেরা দেখে জানা গিয়েছে, ওই রোগী রাত ২টো ১৮ মিনিটে হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন। অথচ নিরাপত্তারক্ষীরা কিছুই বলেননি।
নিখোঁজ রোগীর স্ত্রী বিশন ওরাওঁ বলেন, হাতে চ্যানেল থাকা অবস্থায় রাতে রোগী বেরিয়ে গেলেও আয়া, নার্স এবং নিরাপত্তাক্ষীরা আটকাননি। ৮ দিন স্বামীকে খুঁজে পাচ্ছি না। এর দায় হাসপাতালের। হলুদ কার্ড ছাড়া দেখা করতে দেয় না। এতই যদি কড়াকড়ি, তাহলে রোগী চলে গেল কী করে? ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁকে ফিরিয়ে আনার দাবি জানিয়েছি।
হাসপাতালে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা সুপার অপূর্ব কুমার মৃধা বলেছেন, কীভাবে রোগী হাসপাতাল থেকে চলে গেল খতিয়ে দেখা হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকেও জানানো হবে।
রোগীর পরিবারের আরও অভিযোগ, নিখোঁজ হওয়ার খবর দেওয়ার পরিবর্তে ঘটনাটি চাপা দিতে সকালে ওই রোগীকে ওষুধ দেওয়া হয়েছে বলে নার্সরা জানিয়েছেন। হাসপাতাল চত্বরে ক্যাম্প থাকা সত্ত্বেও মাঝরাতে রোগী চলে যাওয়ার প্রশ্নের মুখে পুলিস কর্মীরাও। সবক্ষেত্রেই গাফিলতির কথা উঠে আসছে।
বালুরঘাট থানার আইসি বলেন, নিখোঁজের ডায়েরি হয়েছে। রোগীর আত্মীয়রা হাসপাতালে এসেছিলেন। তাঁদের বুঝিয়ে বাড়ি পাঠিয়েছি।