• বৃষ্টিতে ক্ষতি সব্জির, দামে জেরবার ক্রেতারা
    বর্তমান | ১৫ জুলাই ২০২৪
  • সংবাদদাতা, চাঁচল: টানা বৃষ্টির জেরে আনাজের সঙ্কট তৈরি হয়েছে মালদহের চাঁচলে। দৈনিক বাজারগুলিতে সব্জির দাম আকাশছোঁয়া। এক সপ্তাহের ব্যবধানে এমন মূল্যবৃদ্ধিতে নাভিশ্বাস আমজনতার। দাম নিয়ন্ত্রণের জন্য চাঁচলের বিভিন্ন দৈনিক বাজারগুলিতে প্রশাসনিক নজরদারির দাবি উঠেছে।


    গত এক সপ্তাহ প্রায় প্রতিদিনই বৃষ্টি হচ্ছে চাঁচলে। টানা বর্ষণে পাট ও ধান চাষে সুবিধা হলেও আনাজের ক্ষতি হচ্ছে। বৃষ্টির জলে পটল ও ঢ্যাঁড়শ পচন ধরতে শুরু করেছে। বৃষ্টির জলে বেগুনগাছের ফুল ঝরে যাওয়ায় উৎপাদনও কমেছে বলে কৃষকদের দাবি। খানপুরের ইমাদুর রহমানের কথায়, দু’মাস হল দেড় বিঘা জমিতে বেগুন চারা লাগিয়েছিলাম। এখন বৃষ্টির জেরে ফুল ঝরে পড়ছে। 


    কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, চাঁচল ১ ব্লকে প্রায় এক হাজার হেক্টর জমিতে সব্জি চাষ হয়। মতিহারপুর পঞ্চায়েত এলাকা সব্জি ভাণ্ডার বলে পরিচিত। সেখানেও কয়েকশো বিঘার পটল ও ঢ্যাঁড়শ পচন ধরতে শুরু করেছে। সন্তোষপুরের কৃষক রেজাউল করিম বলেন, পৈতৃক জমিতে দীর্ঘদিন সব্জি চাষ করি। এবার দু’বিঘা জমিতে পটল চাষ করেছি। পটল পরিপক্ক হওয়ার আগেই বৃষ্টির জন্য পচে যাচ্ছে। 


    চাঁচল ১ ব্লকের সহ কৃষি অধিকর্তা দীপঙ্কর দেবের পরামর্শ, বর্ষার সময়  ধসা রোগের প্রকোপ বাড়ে। প্রতিরোধের জন্য ওষুধ স্প্রে করতে হবে।


    এরই মাঝে চাঁচল দৈনিক বাজার, আশাপুর ও কলিগ্রাম সহ বিভিন্ন বাজারে আনাজের লাগামহীন দাম বেড়েছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। 


    আশাপুরের বেলাল আলি বলেন, ক’দিনে হুহু করে দাম বেড়ে চলেছে। প্রশাসন নজরদারি চালালে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। কলিগ্রামের নাজির হোসেনের কথায়, দিনমজুরি করে যা উপার্জন হয়, বেশিরভাগ বাজার খরচেই চলে যায়। কলিগ্রাম দৈনিক বাজারের বিক্রেতা রহিমুল হকের দাবি, এক সপ্তাহ ধরে ঠিকমতো আমদানি হচ্ছে না। আগের মতোই লাভ রেখে বিক্রি করছি। দাম বেড়ে যাওয়ায় সমস্যা হচ্ছে।


    চাঁচল ১ ব্লকের বিডিও থিনলে ফুন্টসক ভুটিয়া বলেন, সব্জির দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য টাস্ক ফোর্স গঠন করা হবে। দ্রুত অভিযান হবে বিভিন্ন বাজারে।
  • Link to this news (বর্তমান)