সংবাদদাতা, গঙ্গারামপুর: জমি সংক্রান্ত বিবাদ। কুশমণ্ডিতে সৎ মাকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল সৎ ছেলে ও নাতির বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে পাঁচজনকে। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত বৃদ্ধার নাম বাণী রায় (৭৫)। তাঁর বাড়ি কুশমণ্ডি থানার সূর্যমণি এলাকায়। অভিযুক্তরা হলেন সত্ ছেলে সুভাষ রায় (৫০) , বৌমা নয়ন রায় (৪৫), নাতি বিপুল রায়, হরদেব রায়, মহাদেব রায়। তাঁরা সকলেই সূর্যমণি এলাকায় থাকে।
এক শতক জমি কোন ছেলে ভোগ করবে, তা নিয়ে বাণীর সত্ ছেলে প্রায় শারীরিক নির্যাতন করতেন বলে অভিযোগ। শনিবার রাতে বৃদ্ধা তাঁর নিজের ছেলে সুটকু রায়ের বাড়িতে ছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় সৎ ছেলে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে গিয়ে বাণীর উপর চড়াও হয়ে বেধড়ক মারধর করেন। বৃদ্ধার ছেলের স্ত্রী মামণি রায় বাধা দিতে গেলে তাঁকেও বেধড়ক মারেন ভাসুর ও ভাইপো। তারপর বৃদ্ধাকে লোহার রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায় অভিযুক্তরা। খবর পেয়ে অপর সৎ ছেলে সোনা রায় তার ভাইয়ের বাড়ি থেকে সৎ মা ও ভাইয়ের স্ত্রীকে উদ্ধার করে কুশমণ্ডি গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান বাণীর মৃত্যু হয়েছে। ভাইয়ের স্ত্রীকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি করে সোনা।
রবিবার কুশমণ্ডি থানায় নিজের ভাই ও ভাইপোদের নামে সৎ মাকে খুনের অভিযোগ করেছে সোনা। ঘটনার পর বাড়ি থেকেই পুলিস গ্রেপ্তার করে অভিযুক্তদের। দেহ ময়নাতদন্তে পাঠিয়ে খুনের মামলা রুজু হয়েছে।
এদিন পাঁচ অভিযুক্তকে আদালতে তুললে বিচারক সুভাষ ও হরদেব রায়কে ৭ দিনের পুলিস হেপাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। বাকি তিনজনের ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়েছে।
গঙ্গারামপুর মহকুমা পুলিস আধিকারিক দীপাঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, বৃদ্ধাকে খুনের অভিযোগে তাঁর পরিবারের পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ছেলে ও নাতিকে হেপাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছি।
মৃত বৃদ্ধার সৎ ছেলে সোনা রায় বলেন, আমার সৎ মা অত্যন্ত ভালো ছিলেন। বাবার মৃত্যুর পর সকলে সমান ভাগে জমি নিয়েছে। মায়ের এক শতক জায়গা রয়েছে। তার উপর আমার নিজের ভাই ও তার পরিবারের নজর ছিল। সেই জায়গা নিতেই পরিকল্পনা করে আমার ভাই ও তার পরিবার খুন করেছে। অভিযোগ করেছি। পুলিস তদন্ত করে শাস্তি দিক।