• কংক্রিটের জায়গায় কাদা কিভাবে? কারণ অনুসন্ধানে আজ শিয়ালদহ পরিদর্শনে পুরসভা-রেলের যৌথ টিম
    বর্তমান | ১৫ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: হাসপাতালের গেটেরে পাশেই ডাই হয়ে পড়ে রয়েছে নোংরা-আবর্জনা। মেট্রো স্টেশনে ঢুকতে পাশে খড়ের গাদা এদিক-ওদিক ছড়িয়ে রয়েছে। কোথাও পড়ে আছে পিচবোর্ডের ভাঙা বাক্স, উচ্ছিষ্ট ফল-সব্জির জঞ্জাল। গোটা এলাকায় কাদা প্যাঁচপ্যাঁচে অবস্থা। গুরুত্বপূর্ণ শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরের রোজকার ছবি এটাই। কিন্তু, গোটা চত্বর যেখানে ম্যাস্টিক অ্যাসফাল্টে (পিচ) ঢাকা, সেখানে মাটি না থাকেলও এত কাদা আসতে কোথা থেকে? স্বাভাবিকভাবেই সেই প্রশ্ন উঠতে বাধ্য। নিত্যযাত্রী থেকে শুরু করে অটোচালক, সকলেরই দাবি, এটা রোজকার সমস্যা। ওই ফলের পিচবোর্ডের বাক্স, ডিমের ট্রেগুলি রাস্তায় পড়ে পড়ে নষ্ট হয়। রোজ শয়ে শয়ে গাড়ি শিয়ালদহ স্টেশনে ঢোকে। গাড়ির চাকার চাপে পিচবোর্ডের অংশ পিচের রাস্তার উপর চেপে বসে। বৃষ্টির জলে জলে সেগুলি কাদা-কাদা করে তোলে গোটা এলাকা। সেই সঙ্গে যত্রতত্র পড়ে থাকা আবর্জনা কার্যত নরক করে তুলেছে শিয়ালদহ স্টেশনের বাইরের গোটা চত্বর।


    নয়া মেট্রো স্টেশনের পিছনে কলকাতা পুরসভার একটি কম্প্যাক্টর স্টেশন রয়েছে। নিয়মতি সেখানে জঞ্জাল ব্যবস্থাপনার কাজও হয়। কিন্তু, তবুও, শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরের হাল ফেরে না। বৃষ্টি হোক বা না হোক গোটা চত্বর সবসময় কাদায় ভরে থাকে। এই সমস্যা সমাধানে আজ, সোমবার রেলের আধিকারিকদের সঙ্গে পুরসভার অফিসারদের শিয়ালদহ স্টেশন চত্বর যৌথ পরিদর্শন করার কথা। গোটা এলাকা কীভাবে নিয়মিত সাফ রাখা যায়, সে নিয়ে পদক্ষেপ করা হবে বলেই পূর্ব রেল ও পুরসভা সূত্রে খবর। 


    নিয়মিত শিয়ালদহ স্টেশনে বিভিন্ন জায়গা থেকে সব্জি ও ফলের গাড়ি আসে। সেগুলি স্টেশন চত্বরেই লোডিং-আনলোডিং হয়। সেখান থেকেই বিভিন্ন বাজারে যায়। পাশাপাশি, অনেকেই শিয়ালদহ স্টেশনের বাইরে কোর্টে কিংবা মেট্রো গেটের পাশে সেগুলি বিক্রিও করে। এক রেলকর্তার দাবি, লোডিং-আনলোডিং হওয়ার পর পাতা, পচা ফল-সব্জি সহ কাঠের বা পিচবোর্ডের বাক্সগুলি ওখানেই ফেলে রাখে বিক্রেতারা। সেগুলির জন্যই গোটা চত্বরে জঞ্জাল জমে। খড়দার বাসিন্দা বৈশালী ঘোষের কথায়, স্টেশন থেকে বেরিয়ে বাস ধরা কিংবা অটো নেওয়ার জন্য অনেকটা পথ হেঁটে আসতে হয়। এই জঞ্জালের জন্য গোটা রাস্তা কাদায় প্যাঁচপ্যাঁচ করে। রেলের দাবি, ওই এলাকায় আদালত ও বি আর সিং হাসপাতলের ফুটপাতে একাধিক বেআইনি দখলদার রয়েছে। তারাও চায়ের কাপ, ভাঁড় থেকে শুরু করে খাওয়ার প্লেট সব রাস্তার ধারেই ডাই করে রেখে দেয়। 


    খুব শীঘ্রই শিয়ালদহ থেকে এসপ্লানেড রুটে মেট্রো চলাচল শুরু হওয়ার কথা। তাই, গোটা চত্বরের ভোলবদলের প্রয়োজন। পুরসভার জঞ্জাল সাফাই ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক কর্তা বলেন, সোমবার শিয়ালদহ স্টেশনের বাইরে পরিদর্শন করার কথা রয়েছে। রেলের তরফে আমাদের কাছে সাফাইয়ের জন্য সহযোগিতা চেয়েছিল। তাই, সেই মতো কীভাবে গোটা এলাকা সাফ রাখা যায়, তাই ভিজিট হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)