• পাঁচ লক্ষ টাকা কমিশন না পেয়েই প্রোমোটারকে মার, কাশীপুর কাণ্ডে গ্রেপ্তার আরও ৩
    বর্তমান | ১৫ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: অবাঙালি ভাড়াটে তুলতে প্রোমোটার অভিজিৎ সরকারের থেকে পাঁচ লক্ষ টাকা কমিশন দাবি করেছিল মূল অভিযুক্ত রানা। তাদের মধ্যে ঝামেলা এই প্রথম নয়। এর আগেও দু’পক্ষের মধ্যে একই ইস্যুতে বারবার বাদানুবাদ হয়েছে। এবার কমিশনের টাকা না পেয়েই প্রোমোটারের উপর চড়াও হয় রানা ও তার অনুগামীরা। 


    প্রোমোটারকে মারধরের ঘটনায় শনিবারই মূল অভিযুক্ত অভিজিৎ মণ্ডল ওরফে রানা সহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছিল কাশীপুর থানার পুলিস। রবিবার ভোররাতে আরও ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেন তদন্তকারীরা। ধৃতদের নাম সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়, বিশাল দেব ও মনু পান্ডে। গ্রেপ্তার হওয়া ৬ জনকেই রবিবার শিয়ালদহ আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক ধৃতদের ১৮ জুলাই পর্যন্ত পুলিস হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। 


    পুলিস সূত্রে খবর, অবাঙালি ওই ভাড়াটেকে ওঠানোর জন্য রানাকে কমিশন দেওয়ার পথে হাঁটেননি প্রোমোটার। নিজেই ভাড়াটের সঙ্গে কথা বলে নেন। দু’পক্ষের মধ্যে বোঝাপড়া হয়ে যাওয়ার পরেই বাড়ি ছেড়ে দেন ওই অবাঙালি পরিবার। পরে বিষয়টি জানতে পারে রানা। কমিশনের টাকা হাতছাড়া হওয়ার পরই ক্ষিপ্ত হয়ে রানা চড়াও হয় প্রোমোটারের অফিসে। লালবাজার সূত্রে খবর, অভিযোগকারী দাবি করেছেন, ঘটনাস্থল থেকে খোয়া গিয়েছে এক লক্ষ ৯৫ হাজার টাকা ও প্ল্যাটিনামের আংটি। শুধু তাই নয়, ফুটেজ নষ্ট করার জন্য তাঁর সিসি ক্যামেরাও ভেঙে দেওয়া হয়। 


    এদিন এজলাসে সরকারি আইনজীবী সুমন সামন্ত বলেন, প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ফুটেজ পুনরুদ্ধার করা হবে। পাশাপাশি, প্রয়োজনে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হতে পারে। এই ঘটনার নেপথ্যে আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা পুলিসের ডিসি (নর্থ) অভিষেক গুপ্তা জানিয়েছেন, খোয়া যাওয়া টাকা ও আংটি ধৃতরা কোথায় রেখেছে, তা জেরায় জানতে চাওয়া হচ্ছে। সেগুলিকে উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। ধৃতরা আংটি বেচে দিয়েছে কি না, তাও দেখা হচ্ছে। অন্যদিকে, এলাকায় পুলিস পেট্রলিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ঘটনার জেরে যাতে কোনও অপ্রীতিকর কিছু না ঘটে, তা নজরে রাখছে কাশীপুর থানা।
  • Link to this news (বর্তমান)