সংবাদদাতা, বনগাঁ: বেশ কয়েক বছর আগে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালকে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে পরিণত করা হয়। বাড়ানো হয় শয্যা সংখ্যা। বিশাল ভবনের আধুনিক পরিকাঠামো দেখে আশায় বুক বেঁধেছিল বনগাঁবাসী। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে ততই হতাশ হচ্ছেন তারা। বিরাট হাসপাতালের ঝাঁ চকচকে রাস্তার দু’পাশে গজিয়ে উঠেছে একাধিক দোকান। আগুন জ্বালিয়ে চলছে চা, খাবার তৈরি। হাসপাতালে আসা রোগীর আত্মীয়রা ভিড় জমাচ্ছেন দোকানগুলিতে। চায়ের কাপ, খাবারের উচ্ছিষ্ট নোংরা করছে গোটা এলাকা। হাসপাতাল চত্বরে বেআইনি দোকান গজিয়ে ওঠায় বাড়ছে যানজটও। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ উদাসীন। তাঁদের বক্তব্য, বিষয়টি প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।বনগাঁ হাসপাতালের সবকটি রাস্তাজুড়ে বেআইনি দোকান গজিয়ে উঠেছে। রাস্তার উপরেই চলছে বেচাকেনা। সবসময় যানজট লেগেই থাকছে। রাত হলে বাড়ছে মানুষের আনাগোনা। হাসপাতালের ভিতর দোকান গজিয়ে ওঠা প্রসঙ্গে হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বড়াই বলেন, ‘এটা প্রশাসনের দেখার বিষয়। আমি প্রশাসনের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ করেছি। কিন্তু তারা কোনও ব্যবস্থা না নিলে আমাদের পক্ষে এঁদের উচ্ছেদ করা সম্ভব না।’ শুধু দোকান নয়। হাসপাতাল চত্বরে দু’টি টোটো স্ট্যান্ডও তৈরি হয়েছে। সেখানে সবসময় একাধিক টোটো দাঁড়িয়ে থাকে। জরুরি ভিত্তিতে কোনও রোগী এলে অনেক সময় যানজটে পড়তে হচ্ছে তাদের। যত্রতত্র চারচাকা গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। কোনও কোনও ক্ষেত্রে রাতে গাড়ির মধ্যে বসছে মদের আসর। অনেকে পার্কিং জোন হিসেবে হাসপাতাল চত্বরকে ব্যবহার করেন। বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ বলেন, ‘হাসপাতাল চত্বরে দোকান গড়ে উঠলেও এতে আমাদের কিছু করার নেই। এটা প্রশাসনের দেখার বিষয়।’