চাষির দুয়ারে গিয়ে পেঁয়াজ সংগ্রহ শুরু সুফল বাংলার
বর্তমান | ১৫ জুলাই ২০২৪
নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: সম্প্রতি পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবিলম্বে দাম কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। আর সেই লক্ষ্যেই মাঠে নেমেছে কৃষি বিপণন দপ্তর। মানুষের কাছে ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ পৌঁছে দিতে চাষিদের দুয়ারে গিয়ে পেঁয়াজ সংগ্রহের কাজে নেমেছে কৃষি বিপণন দপ্তরের অধীনে থাকা সুফল বাংলা কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে, নবান্নের তরফে রাজ্যে আরও এক হাজারটি পেঁয়াজ গোলা তৈরির উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে বলেই সূত্রের খবর।
নবান্ন সূত্রে খবর, কয়েক মাস আগে থেকেই চাষিদের কাছ থেকে ন্যায্যমূল্য দিয়ে পেঁয়াজ কেনা শুরু হয়েছে। এবার একেবারে মুর্শিদাবাদ, মালদা, পূর্ব বর্ধমান, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদীয়া জেলায় কৃষকদের দুয়ারে গিয়ে পেঁয়াজ কিনছে সুফল বাংলা কর্তৃপক্ষ। যা বিক্রি করা হচ্ছে ৪৬৮টি সুফল বাংলা স্টল থেকে। রাজ্যের এই উদ্যোগের ফলও আসতে শুরু করেছে। আরও দু’টাকা কমে জনসাধারণের কাছে পেঁয়াজ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে সাধারণ মানুষের কাছে।
রাজ্যের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নির্দিষ্ট ব্লকের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকরা যাচ্ছেন কৃষকদের কাছে। সেখানে গিয়ে তাঁরা সরাসরি কথা বলছেন। খোঁজ চালাচ্ছেন কাদের কাদের গোলায় এখনও রাজ্যের উদপাদিত পেঁয়াজ রয়েছে। এইভাবেই আগামী একমাসে কোন কোন জেলার কৃষকদের থেকে পেঁয়াজ কিনে সুফল বাংলার মাধ্যমে ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করা হবে, তাও চিহ্নিত করে রাখা হচ্ছে।
বর্তমানে রাজ্যে চার হাজার পেঁয়াজ গোলা রয়েছে। তার এক-একটির মজুত ক্ষমতা ৯ থেকে ১০ টন। সেখানে নির্দিষ্ট প্রযুক্তির মাধ্যমে বাঁশের মাঁচায় পাতাসহ পেঁয়াজ ঝুলিয়ে রাখা হয়, যাতে তা অন্তত চার থেকে পাঁচ মাস সতেজ থাকে। এই ধরনের গোলা তৈরির ক্ষেত্রে খরচ হয় প্রায় দেড় লক্ষ টাকা। রাজ্যের আর্থিক সহযোগিতায় আগামী একবছরে এরাজ্যে আরও এক হাজারটি পেঁয়াজ গোলা তৈরির লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে।