• বারাসতে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জমি দখল করে রমরমিয়ে বাজার
    বর্তমান | ১৫ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বারাসত: সরকারি স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জমিতে রমরমিয়ে চলছে বাজার। স্বাভাবিকভাবেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসতে-যেতে গিয়ে নাকাল অবস্থা সাধারণ মানুষের। মুখ্যমন্ত্রী সরকারি জমি দখলমুক্ত করার কথা বললেও এনিয়ে কার্যত নীরব পুর প্রশাসন। ফলে, ক্ষোভ বাড়ছে সাধারণ মানুষের। ঘটনাটি বারাসত পুরসভার ৮ নং ওয়ার্ডের নবপল্লির।


    বাম আমলে বারাসত পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের নবপল্লিতে বেহাল অবস্থায় পড়েছিল ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি। ২০১০ সালে বারাসত পুরসভা তৃণমূলের দখলে আসার পর সেখানে আর্বান প্রাইমারি হেলথ সেন্টার চালু হয়। দ্বিতল ওই ভবনে আউটডোরে চিকিৎসক রোগী দেখেন। প্রাথমিক চিকিৎসা সহ ভ্যাকসিনও দেওয়া হয় এই স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে। এরপর ক্রমশ রোগীর চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় সাংসদ তহবিলের অর্থে ওই কেন্দ্রে তৃতীয় ও চতুর্থ তল নির্মাণ হয়েছে। নামকরণ করা হয়েছে সিস্টার নিবেদিতা পলিক্লিনিক সেন্টার ও মাতৃসদন। সেখানে আগামী মাস দুয়েকের মধ্যে বিকেল তিনটে থেকে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা পর্যন্ত পলিক্লিনিক সেন্টারও চালু হওয়ার কথা।


    সূত্রের খবর, স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি পুরসভার ১৪ কাঠা জমি মধ্যে রয়েছে। এর মধ্যে সর্বসাকুল্যে সাড়ে তিন কাটা জমির উপর গড়ে উঠেছে ভবন। বাকি জমি চলে গিয়েছে কিছু ব্যবসায়ীর দখলে। পুরসভার এই জমিতেই বহাল তবিয়তে চলছে বাজার। রয়েছে কমবেশি ৪০-৪৫টি দোকান। এঁদের মধ্যে অনেকেই সরকারি জমি দখল করে ১০ বছরের বেশি সময় ধরে ব্যবসা করছেন বলে অভিযোগ। ফলে বাজারের ভিড়ে নাজেহাল হতে হয় রোগীদের। অবৈধ দখলদার হটাতে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশের পরেও কেন এক্ষেত্রে নিষ্ক্রিয় প্রশাসন, সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মুখে মুখে।


    স্থানীয় বাসিন্দা প্রদীপ পাল বলেন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জমি দখলমুক্ত করে সেই জমি স্বাস্থ্য পরিষেবায় ব‍্যবহার হলে মানুষেরই উপকার হবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেও সরকারি এই জায়গা দখলমুক্ত করতে উদ্যোগ নেয়নি পুরসভা। এদিকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের কর্মী অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় বলেন, স্বাস্থ্যকেন্দ্রে রোগীর চাপ বাড়ছে। তাই, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জমিটি দখলমুক্ত করা গেলে চিকিৎসা পরিষেবার উন্নয়ন ঘটবে। এবিষয়ে পুরসভার চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল অরুণ ভৌমিক বলেন, বাম আমল থেকেই স্বাস্থ্যকেন্দ্রের জমিতে বসতে শুরু করেছেন ব্যবসায়ীরা। স্বাস্থ্যকেন্দ্রর উন্নত পরিষেবার জন্য বাকি অংশের জমিটির প্রয়োজন রয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, পুরসভার সঙ্গে কথা বলে এনিয়ে ব্যবস্থা হবে।
  • Link to this news (বর্তমান)