এই সময়: বিজেপিকে ‘পথ’ দেখাতে চাইছেন শুভেন্দু অধিকারী। দলীয় কর্মীদের কাছে তাঁর স্পষ্ট বার্তা, পথে নেমে আন্দোলনই হলো সেই পথ। শনিবার চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে তৃণমূলের কাছে পর্যুদস্ত হওয়ার পর রাজ্যসভার বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য জোর গলায় দাবি করেছিলেন, ‘এই অবস্থার পরিবর্তন হবে। বিজেপি ঘুরে দাঁড়াবেই।’কিন্তু কী উপায়ে বাংলায় বিজেপি ঘুরে দাঁড়াবে, তা খোলসা করেননি তিনি। রবিবার রাজভবনের বাইরে দলের ধর্নামঞ্চ থেকে বিজেপির ঘুরে দাঁড়ানোর পথ বাতলে দিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বার্তা, ‘পথই পথ দেখাবে। রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ হবে।’ সাধারণ মানুষের দৈনন্দিন জীবনের নানা সমস্যাকে হাতিয়ার করে একগুচ্ছ আন্দোলন কর্মসূচির কথা ঘোষণা করে শুভেন্দু বুঝিয়ে দিয়েছেন, আন্দোলনের পথেই আবার বিজেপি ঘুরে দাঁড়াবে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধিকে হাতিয়ার করে গোটা রাজ্যে আন্দোলন সংগঠিত করতে চাইছেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, ‘এত দাম খাব কী, মমতা যাবে কি— এই স্লোগানকে সামনে রেখে ১৮ তারিখ আমার নির্বাচনী কেন্দ্র নন্দীগ্রামে গণ-আন্দোলনের ডাক দিয়েছি। আলু ও রাজ্যে উৎপাদিত হওয়া সব জিনিসের আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদেই এই আন্দোলন।’
সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ, পেট্রল-ডিজ়েলের দাম বৃদ্ধি-সহ আরও একাধিক বিষয় নিয়ে আন্দোলনে নামার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন শুভেন্দু। তাঁর কথায়, ‘সিইএসসি এলাকায় বিদ্যুতের বিল তিনগুণ বাড়ানো হয়েছে। জমি কেনাবেচার উপর ২ শতাংশ সেস বেড়েছে। রাজ্য সরকার পেট্রল-ডিজেলের ভ্যাটের উপর ছাড় প্রত্যাহার করে নেওয়ায় লিটারপ্রতি দাম এক টাকা করে বেড়ে গিয়েছে। আমরা এর বিরুদ্ধে পথে নামার আহ্বান জানাচ্ছি। ২২ তারিখ সিইএসসি ঘেরাও করব।’
আন্দোলনের ঝাঁজ বাড়াতে নবান্ন অভিযানের পক্ষেও এদিন সওয়াল করেন শুভেন্দু। তাঁর বক্তব্য, ‘১৭ তারিখের বৈঠকে দলের কাছে প্রস্তাব দেবো।’ এবারের লোকসভা ভোটে বাংলায় বিজেপির আসন এক ধাক্কায় কমে ১৮ থেকে ১২-তে এসে ঠেকেছে। এরপর এক মাস কেটে গেলেও বিজেপির নিচুতলার কর্মীদের আন্দোলনমুখী করতে এতদিন সে ভাবে কোনও উদ্যোগ নিতে দেখা যায়নি দলের রাজ্য নেতৃত্বকে।
শুভেন্দুর ‘পথই পথ দেখাবে’ কৌশলকে কটাক্ষ করে তৃণমূল মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেন, ‘ভোটের বাক্সে বাংলার জনগণ বিজেপিকে পথ দেখিয়ে দিয়েছে!’