প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি, ডাক্তারের দাবি মেনে মেট্রো স্টেশনে নথিভুক্ত তিন আয়ুর্বেদ কলেজ
প্রতিদিন | ১৫ জুলাই ২০২৪
নব্যেন্দু হাজরা: মেট্রো স্টেশন থেকে কারও দূরত্ব ৯০০ মিটার। কারও এক কিলোমিটার। কিন্তু পাতাল রেলের কোনও স্টেশনের সাইনেজ বোর্ডে শতবর্ষ পেরোনো এই সরকারি আয়ুর্বেদ হাসপাতালগুলির উল্লেখ নেই। যা নিয়ে আক্ষেপ জানিয়ে সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখেছিলেন এক চিকিৎসক। ফল মিলল হাতেনাতে। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে দ্রুত ওই তিন আয়ুর্বেদ হাসপাতালকে সাইনেজ বোর্ডে অন্তর্ভুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়। দিল্লির নির্দেশ পেয়েই নড়েচড়ে বসেছে মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। তড়িঘড়ি সাইনেড বোর্ডে লেখা হয়েছে ওই তিন হাসপাতালের নাম। যা নিয়ে খুশি রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর।
শ্যামবাজারের জে বি রায় স্টেট আয়ুর্বেদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। রাজাবাজারের শ্যামাদাস বৈদ্যশাস্ত্রপীঠ (ইনস্টিটিউট অফ পোস্ট গ্রাজুয়েট আয়ুর্বেদ এডুকেশন) ও শোভাবাজারের বিশ্বনাথ আয়ুর্বেদ মহাবিদ্যালয়। প্রথমটির দূরত্ব শ্যামবাজার মেট্রো স্টেশন থেকে মেরেকেটে এক কিলোমিটার। এমজি রোড মেট্রো থেকে শ্যামাদাস বৈদ্যশাস্ত্রপীঠের দূরত্ব দু’ কিলোমিটারের মতো। আর শোভাবাজার মেট্রো স্টেশনের ৯০০ মিটারের মধ্যেই রয়েছে বিশ্বনাথ আয়ুর্বেদ। এর থেকেও বেশি দূরত্বে থাকা অনেক সরকারি অফিস বা হাসপাতালের উল্লেখ রয়েছে মেট্রো স্টেশনের প্রবেশ-প্রস্থানের মুখে লাগানো ডিসপ্লে সাইনেজ বোর্ডে। কিন্তু শতাব্দীপ্রাচীন কলেজগুলি জায়গা পায়নি। বিষয়টি ভাবিয়েছিল আয়ুর্বেদ চিকিৎসক ডা সুমিত সুরকে।
সুমিতই বিষয়টি নিয়ে ২০ জুন প্রধানমন্ত্রীর দফতরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। এর পরই মেট্রো কর্তৃপক্ষের থেকে রিপোর্ট নেয় দিল্লি। অতঃপর ২৪ জুন তারিখে চিকিৎসকের দাবি মেনে তিন মেট্রো স্টেশনের সাইনেজ বোর্ডে তিন কলেজের নাম উল্লেখ করার নির্দেশ দেয় পিএমও।
সুমিত জানালেন, ‘‘মেট্রো রেলের ৪০ বছরের ইতিহাসে এই তিন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের কোনও উল্লেখ ছিল না। বিষয়টি পীড়া দিচ্ছিল। দাবি মান্যতা পাওয়ায় ভাল লাগছে।’’এদিকে এই ঘটনায় খুশি স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। তিনি জানিয়েছেন, ‘‘অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল। এর ফলে সাধারণ মানুষের উপকার হবে।’’