সুমন করাতি, হুগলি: পঞ্চায়েত সমিতি রাশ কার হাতে থাকবে তা নিয়ে বৈঠককে কেন্দ্র করে তুমুল উত্তেজনা। দুপক্ষের হাতাহাতিতে রীতমতো ধুন্ধুমার পরিস্থিতি হুগলির খানাকুলে। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ঘটনাস্থলে বিশাল পুলিশ বাহিনী। নামানো হয়েছে ব়্যাফ।
বিষয়টা ঠিক কী? দীর্ঘদিন ধরেই খানাকুল ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমতির দখল নিয়ে একটা অশান্তি চলছিল। তৃণমূল বোর্ড গঠনের পরই সভাপতি দীপেন মাইতির সঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ নইমুল হকের দ্বন্দ্ব শুরু হয়। পরবর্তীতে দীপেনের ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন পদত্যাগের ইচ্ছেপ্রকাশ করেন। এমনকী সভাপতি শম্পা মাইতির কাছে পদত্যাগ পত্রও জমা দেন তাঁরা। এর ফলে পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটি ভেঙে যাওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। সমস্যা সমাধানে সোমবার বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সেই বৈঠককে কেন্দ্র করেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় এলাকা।
অভিযোগ, প্রথমেই শম্পা মাইতির মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়। ততক্ষণে বাইরে জমায়েত করেছেন কয়েকশো লোক। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে ময়দানে নামে পুলিশ ও ব়্যাফ। প্রবল ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে ২ পক্ষ। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে গিয়ে আক্রান্ত হয় পুলিশও। এবিষয়ে এক পঞ্চায়েত সদস্য বলেন, “সভাপতি ম্যাডামের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমাকেও মারধর করা হয়েছে। মূলত ঘটনার জন্য দায়ী নইমূল ওরফে রাঙ্গা।” এবিষয়ে হুগলি পুলিশের তরফে বলা হয়েছে, “একটা অশান্তি হয়েছে। উভয়পক্ষকে এলাকা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখনও এলাকায় পুলিশ বাহিনী রয়েছে।”