ফাঁসিদেওয়া থানায় ফাঁসি দেওয়ার চেষ্টা মহিলা বন্দির, প্রাণ বাঁচল পুলিশের তৎপরতায়
হিন্দুস্তান টাইমস | ১৫ জুলাই ২০২৪
পাওনা নিয়ে বিবাদের দেরে গর্ভবতী সিভিক ভলান্টিয়ারকে খুনের চেষ্টার মামাতো বউদির। গ্রেফতারির পর পুলিশ হেফাজতে আত্মহত্যার চেষ্টা অভিযুক্তের। ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে শিলিগুড়ির ফাঁসিদেওয়া থানায়। আক্রান্ত ও অভিযুক্ত ২ জনই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পড়তে থাকুন - ২১ জুলাই 'গণতন্ত্র হত্যা দিবস' পালন করবে BJP, ২২ জুলাই CESC অভিযান
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মাম্পি দেবনাথ মিত্র নামে ফাঁসিদেওয়া থানার এক সিভিক ভলান্টিয়ারের সঙ্গে তাঁর মামাতো বউদি চিরতা দেবনাথের পাওনা নিয়ে বিবাদ চলছিল। মাম্পিদেবী গর্ভবতী। গত বৃহস্পতিবার মাম্পিদের বাড়ি যান চিরতা। সেখানে ২ জনের মধ্যে ব্যাপক বচসা হয়। চিরতা মাম্পিকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। মারের চোটে মাম্পি অচেতন হয়ে পড়লে তাঁর গায়ে আগুন দিয়ে চিরতা তাঁকে প্রাণে মারার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গুরুতর আহত মাম্পিকে উদ্ধার করে শিলিগুড়ির একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন পরিজনরা। এর পর চিরতার বিরুদ্ধে ফাঁসিদেওয়া থানায় অভিযোগ দায়ের হয়।
অভিযোগ পেয়ে চিরতাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। শুক্রবার তাঁকে আদালতে পেশ করলে ৭ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। তার পর থেকে ফাঁসিদেওয়া থানাতেই ছিল অভিযুক্ত। রবিবার সকালে শৌচালয়ে গিয়ে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয় সে। এর পর অনেকক্ষণ কেটে গেলেও সে না বেরনোয় ডাকাডাকি শুরু করেন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশকর্মীরা। সাড়া না দেওয়ায় দরজা ভেঙে শৌচাগারে ঢোকেন তাঁরা। সেখানে চিরতা দেবনাথকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান পুলিশকর্মীরা। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে শিলিগুড়িতে পাঠানো হয়। তিনি উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ফাঁসিদেওয়া থানা সূত্রে জানানো হয়েছে, এক মহিলা বন্দি আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।