• কারখানার শব্দে উড়েছে রাতের ঘুম, ১৫ দিনের মধ্যে অন্যত্র সরানোর নির্দেশ আদালতের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ১৫ জুলাই ২০২৪
  • কারখানার শব্দে রাতের ঘুম উড়ে গিয়েছিল স্থানীয় বাসিন্দাদের। তারফলে স্বাভাবিকভাবেই তীব্র সমস্যায় পড়েছিলেন গ্রামবাসীরা। অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টে সমস্যার সমাধান হল। আদালত দ্রুত ওই কারখানা সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে। কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশ ১৫ দিনের মধ্যে কারখানাটি লোকালয় থেকে অন্যত্র সরাতে হবে।


    মামলার বয়ান অনুযায়ী, ঘটনাটি হল মুর্শিদাবাদের সমসেরগঞ্জের। সেখানকার ভাসাইপাইকর গ্রামের বাসিন্দারা এই সমস্যার কথা জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। আদালত সূত্রে জানা যাচ্ছে, ১৯৬৪ সালে ফারাক্কা ব্যারেজ তৈরির প্রকল্পের জন্য ওই এলাকায় একাধিক জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল। যারমধ্যে মহব্বতপুর গ্রামের মানুষদেরও জমি অধিগ্রহণ করেছিল সরকার। পরে জমিহারাদের সরকারের তরফে জায়গা দেওয়া হয়। মূলত জমিহারাদের পুনর্বাসনের জন্যই বিকল্প জায়গা দিয়েছিল সরকার। এরপরে সেখানে বাড়ি বানিয়ে বসবাস করতে শুরু করেন জমিহারা মানুষজন।

    এদিকে, ওই জমিতে বসত বাড়ি না বানিয়ে সেখানে একটি বাসন তৈরির কারখানা করেন এক বাসিন্দা। আর তাতেই ঘটে বিপত্তি। কারণ বাসন তৈরির জন্য সারারাত ধরে কাজ চলে কারখানায়। আর সেখানে আর থালা বাসন, ইস্পাতের ব্যাপক শব্দ হয়। এভাবে কারখানার শব্দে রাতে শান্তিতে ঘুমোতে পারছেন না সেখানকার বাসিন্দারা। এই অবস্থায় জীবনে শান্তি বিঘ্নিত হওয়ার অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন জিয়াউল শেখ সহ গ্রামের একাধিক বাসিন্দা। এই সমস্যার সুরাহা চেয়ে তারা কলকাতা হাইকোর্টের কাছে আবেদন করেছিলেন।

    প্রথমে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে মামলা চলে। পরে ডিভিশন বেঞ্চে যায় মামলাটি। মামলাকারীদের অভিযোগ, এই ইস্পাত কারখানার শব্দে শুধুমাত্র যে তাদের রাতে ঘুম হচ্ছে না তাই নয়, কারখানা থেকে রাসায়নিক বর্জ্য পদার্থ নির্গত হয়ে পরিবেশ ব্যাপকভাবে দূষিত করছে। এমনকী স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। সেই সংক্রান্ত মামলাতে ১৫ দিনের মধ্যে মালিককে বাসন কারখানা অন্যত্র সরানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)