রাজ্যের পাঠানো বিল আটকে রাখার অভিযোগ অস্বীকার করলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। রাজ্য সরকারের অভিযোগ ছিল, রাজ্যপাল বিধানসভায় পাশ করা আটটি বিল আটকে রেখেছেন দীর্ঘদিন ধরে। এই অভিযোগ তুলে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করতেই রাজ্যপালের এমন বক্তব্য প্রকাশ্যে এসেছে। রাজ্যপাল বিল আটকে রাখার অভিযোগ অস্বীকার করে উল্টে এনিয়ে রাজ্য সরকারকে দায়ী করেছেন।
রাজ্যপাল জানিয়েছেন, রাজ্য সরকারের পাঠানো ৮টি মধ্যে ৬ টি রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে বিবেচনার জন্য পাঠানো হয়েছে। তাঁর কাছে সেই বিলগুলি এখনও রয়েছে। একটি এখনও বিবেচনা করা হচ্ছে, আর অষ্টম বিলটিতে বেশ কিছু অস্পষ্টতা রয়েছে। তার জন্য রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিকে তিনি ডেকে পাঠিয়েছিলেন। তা সত্ত্বেও রাজ্যের তরফে কোনও প্রতিনিধি রাজ্যপালের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। রাজ্যপাল বলেন, ‘৮ টি বিল আটকে রাখার অভিযোগ তুলে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে। তবে এই অভিযোগ ভুল। কারণ রাজভবনে একটিও বিল আটকে নেই।’
এক্ষেত্রে বিষয়টি সংবিধানের ১৬৭ নম্বর অনুচ্ছেদের কথা মনে করিয়ে দিয়ে রাজ্যপাল আরও বলেন, সে ক্ষেত্রে এই অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাজ্য পদক্ষেপ করতে পারত। উল্লেখ্য, ১৬৭ নম্বর অনুচ্ছেদে রাজ্যপালের প্রতি মুখ্যমন্ত্রীর কর্তব্য উল্লেখ রয়েছে। রাজ্যপালের দাবি, সত্য যাচাই না করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার।
প্রসঙ্গত, সুপ্রিম কোর্টে রাজ্যের তরফে রাজভবনে বিল আটকে রাখা নিয়ে একটি রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে। আইনজীবী আস্থা শর্মা এই পিটিশন দায়ের করেছেন। তিনি অভিযোগ তুলেছেন, রাজ্যপাল ওই বিলগুলি আটকে রেখে সংবিধানের ২০০ নম্বর বিধি ভঙ্গ করছেন। এটা সংবিধান বিরোধী। প্রসঙ্গত, যে ৮টি বিল রাজ্যপালের কাছে পড়ে রয়েছে সেগুলি হল- পশ্চিমবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় আইন বিল।
এছাড়াও, পশ্চিমবঙ্গ আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত আইন বিল। এই সমস্ত বিলের মধ্যে জগদীপ ধনখড় রাজ্যপাল থাকাকালীন ৬টি পাশ হয়েছিল রাজ্য বিধানসভায়। আর বাকি দু’টি বিল সিভি আনন্দের সময়ে পাশ হয়েছে।