বারাসতের ১১ নম্বর রেলগেট এলাকায় বেহাল রাস্তা নিয়ে ক্ষোভ এলাকাবাসীর। রাস্তা মৃত্যুফাঁদের চেহারা নিয়েছে বলে দাবি। মাঝেমধ্যে ঘটছে ছোটখাটো দুর্ঘটনা। অভিযোগ পাওয়ার পরেই সোমবার এলাকা পরিদর্শনে যান সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। বিষয়টি জানিয়ে রেলকে চিঠি লিখবেন বলে আশ্বাস দেন সাংসদ।জেলা সদর শহর বারাসাতের গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তায় সামান্য বৃষ্টি হলেই পিচ্ছিল হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ।। আর তার জেরেই ছোট-বড় যানবাহন থেকে দু চাকার যাত্রীদের ঘটছে দুর্ঘটনা। কলকাতার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ রক্ষাকারী গুরুত্বপূর্ণ ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক এটি। জেলা সদর শহর বারাসাতের এই গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা ব্যবহার করেই প্রতিদিন যাতায়াত করেন হাজার হাজার মানুষ। এমনকি, পণ্যবাহী গাড়িও এই রাস্তা ব্যবহার করেই চলাচল করে।
১১ নম্বর রেলগেট এলাকায় বেহাল রাস্তার ছবিটাই যেন চেনা হয়ে গিয়েছে বারাসাতবাসীর কাছে। মাঝে মাঝে রেলের তরফ থেকে ওই রেল গেট এলাকার রাস্তা ঠিক করা হলেও অল্পদিনেই বেহাল হয়ে যায়। এদিন সামান্য বৃষ্টি হতেই ১১ নম্বর এল রেলগেট এলাকায় পরপর ঘটতে থাকে দুর্ঘটনা। দু’চাকার গাড়ি নিয়ে পারাপার হওয়ার সময় রেললাইনে পিছলে পড়ে যান বহুযাত্রী। এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন বলেও জানা গিয়েছে।
তবে তার থেকেও বড় আশঙ্কার কথা, ব্যস্ততম এই রাস্তায় সবসময় চলে ভারী যানবাহন। দুর্ঘটনার সময় লাইনে হঠাৎই পড়ে যাওয়ায় পিছন থেকে আসা গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যে কোনও সময় ঘটতে পারে বড়সড় দুর্ঘটনা। এমনকি প্রাণহানির আশঙ্কাও তৈরি হচ্ছে এই এলাকায়। সামনেই কলেজ থাকায় প্রতিদিন বহু ছাত্র-ছাত্রী এই রাস্তা ব্যবহার করেই আসা-যাওয়া করেন। তাদের চলাচলের ক্ষেত্রেও তৈরি হচ্ছে আশঙ্কা। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন যাত্রী এই ১১ নম্বর রেলগেট এলাকায় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন।
রেল গেটের দায়িত্বে থাকা গেট ম্যান সহ পুলিশ ও স্থানীয় ট্রাফিকের দায়িত্ব সামলানো কর্মীদের তৎপরতায় বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা মিললেও, যে কোনও সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। গতকাল রাতেই খড়দহ স্টেশন সংলগ্ন রেল গেটের ভিতর প্রাইভেট গাড়ি ঢুকে পড়ে। বড়সড় দুর্ঘটনার হাত রক্ষা পেয়েছে রেলযাত্রীরা। বারাসত ১১নম্বর রেলগেটেও যখন তখন বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
সাংসদ জানান, বিষয়টি তিনি অবিলম্বে রেল দপ্তরকে জানাবেন। রেল বিষয়টি নিয়ে ব্যবস্থা না নিলে সরকারের তরফে আপাতত ওই জায়গা মেরামতি করা হবে বলেও জানান কাকলি দেবী। যা পরিস্থিতি তাতে যে কোন মুহূর্তে বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা ব্যক্ত করেন সাংসদ নিজেও। কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা পাশাপাশি রেলের গাফিলতির বিষয়টিও তুলে ধরে তিনি।