মিল্টন সেন, হুগলি: সোমবার শ্রীরামপুর মাহেশে রথে চেপে মাসির বাড়ি থেকে মন্দিরে ফিরেছেন প্রভু জগন্নাথ। কিন্তু গুপ্তিপাড়ায় জগন্নাথ এখনও মাসির বাড়িতেই। ওখানে উল্টো রথ পালন হবে মঙ্গলবার। তবে উল্টো রথের আগের দিন ঘটা করে পালন করা হল ভান্ডার লুট উৎসব। বহু প্রাচীন কাল থেকে এই প্রথা চালু রয়েছে গুপ্তিপাড়ায়। ২৮৫ বছরের প্রাচীন গুপ্তিপাড়ায় রথের এটাই বৈশিষ্ট্য। একদিকে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে যখন রত্ন ভান্ডার খোলা হচ্ছে ৪৬ বছর পর। সেটাও আবার কড়া পুলিশি নিরাপত্তার বেষ্টনীতে। গুপ্তিপাড়াতেও এদিন চিত্রটা ছিল অনেকটাই সেরকম। এখানেও ছিল করা পুলিশি পাহারা। তবে লুটপাট আটকাতে পুলিশের কিছুই করার ছিল না। তাঁদের চোখের সামনেই লুট হল জগন্নাথের খাদ্য ভান্ডার। নীরব দর্শকের ভূমিকায় দাড়িয়ে তা দেখলেন পুলিশ কর্মী আধিকারিকরা। সোমবার সকালে হুগলির গুপ্তিপাড়া বড়বাজার জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়ির সামনে সাড়ি দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল পুলিশ। অপর দিকে উপচে পরা ভক্তদের ভিড় পেছনের দিকের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে প্রভু জগন্নাথের খাদ্য ভান্ডারে লুঠপাট চালাচ্ছে। গুপ্তিপাড়াতে এই দৃশ্য শুধুমাত্র দেখা যায় উল্টো রথের আগের দিন। প্রায় শতাধিক স্থানীয় মানুষ গায়ে তেল মেখে জগন্নাথের প্রসাদ লুঠ করতে আসরে নামেন। যতক্ষন না ভোগের মালসা হস্তগত করছেন লড়াই চলে ততক্ষণ। ভোগের মালসা নিয়েই পা বাড়ান বাড়ির পথে। প্রায় ৮০০ ভোগের মালসা নিমেষের মধ্যে লুট হয়ে যায়। ভোগের প্রসাদ পান উপস্থিত ভক্তরাও।