• ‌বন্দুকের গুলির শব্দে পরিচালিত হয় মাহেশের র‌থ
    আজকাল | ১৬ জুলাই ২০২৪
  • মিল্টন সেন, হুগলি:‌ দেশের দ্বিতীয় প্রাচীন রথযাত্রায় বন্দুকের বড় ভূমিকা। এখানে হাজার হাজার ভক্তরা রথের দড়ি টেনে নিয়ে যায়। আর সেই হাজার হাজার ভক্তদের, মানে রথের গতিবিধি পরিচালনা করা হয় বন্দুকের গুলির শব্দের মাধ্যমে। যদিও এই রীতি বহু প্রাচীন। তবে সামান্য পরিবর্তন করা হয়েছে। আগে মাহেশের রথের চাকা গড়াত তোপ ধ্বনিতে। বর্তমানে সেটা বন্দুকের শব্দে পরিচালিত হয়ে থাকে। উল্টো রথে মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরে ফিরলেন প্রভু জগন্নাথ। মাসির বাড়ি ৮ দিন কাটিয়ে সোমবার নবম দিনে উল্টো রথে শ্রীধামে ফিরে আসলেন জগন্নাথ দেব। ৬২৮ তম বর্ষে শ্রীরামপুর মাহেশের রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে এদিন সকাল থেকেই মাসির বাড়ি চত্বরে উপচে পড়েছিল ভক্তদের ভিড়। পুরীর পর ভারতের দ্বিতীয় প্রাচীনতম মাহেশের রথযাত্রা। বন্দুকের গুলির শব্দে রথ এগিয়ে যায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্দেশে। বন্দুক ফায়ার করার জন্য দু’‌জন পুলিশ আধিকারিক থাকেন রথের সামনে। শুধুমাত্র রীতি নয়, এই গান ফায়ারের রয়েছে এক বিশেষ প্রয়োজনীয়তা। গুলি চলার শব্দে গড়ায় রথের চাকা। আবারও গুলির শব্দে রথ থামে।

    এই প্রসঙ্গে মাহেশ জগন্নাথ মন্দিরের সেবাইত পিয়াল অধিকারী জানিয়েছেন, তোপ ধ্বনির রীতি বহু প্রাচীন। বলতে গেলে মাহেশের রথযাত্রা শুরু থেকেই। যেহেতু মাহেশের রথের চালানোর জন্য কৃত্রিম কোনও ব্যবস্থা নেই, পুরোটাই মানুষ দ্বারা পরিচালিত। তাদের পরিচালনা করার জন্য তখনকার দিনে তোপ ধ্বনি অত্যন্ত জরুরি ছিল। সেই প্রথা আজও চলছে। তবে তোপের বদলে বন্দুক এসেছে। কারণ রথের দিক পরিবর্তন করা থামানো সব কিছুর জন্যই গুলির শব্দ। আওয়াজ শুনে রথের পেছনে থাকা মানুষের রথের দড়ি ধরে রথের দিক নির্ণয় করেন। রথ দাঁড় করিয়ে দেন। এভাবেই বন্দুকের গুলির শব্দের মাধ্যমে মাহেশের রথ পরিচালনা করা হয়। পিয়াল বাবু আরও জানিয়েছেন, এই রীতি বহু প্রাচীন, তার বাবা ঠাকুরদার আমল থেকে চলে আসছে, যা আজও একই রয়েছে।

    ছবি:‌ পার্থ রাহা
  • Link to this news (আজকাল)