কুলতলিতে প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্তকে ধরতে গিয়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে চলল গুলি, অল্পের জন্য প্রাণরক্ষা ...
আজকাল | ১৬ জুলাই ২০২৪
আজকাল ওয়েবডেস্ক: অভিযুক্তকে ধরতে গিয়ে গুলির মুখোমুখি হতে হল রাজ্য পুলিশকে। ঘটনাস্থল কুলতলি থানার জালাবেড়িয়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেখানে আরও বাহিনীকে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বারুইপুর পুলিশ জেলার কর্তারা। ঘটনাস্থল থেকে দুই মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা গিয়েছে, প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত সাদ্দাম সর্দার নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করতে গ্রামে যায় পুলিশ। সাদ্দামের বিরুদ্ধে সোনার প্রতিমা বিক্রির নামে প্রতারণা করার অভিযোগ আছে। বিক্রির নামে সে সর্বস্ব হাতিয়ে নিত বলে পুলিশ জানতে পারে।
কীভাবে চলত এই চক্র? বারুইপুর জেলা পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, শুধু সাদ্দাম নয়, যে গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে সেখানে আরও বেশ কয়েকজনের নামে প্রতারণার অভিযোগ শোনা গিয়েছে। এরা কোনওভাবে ফোন নম্বর জোগাড় করে সেই ফোনের মালিককে জানাত, মাছ ধরতে গিয়ে নদীতে একটি মূর্তি পাওয়া গিয়েছে। সেটি সোনার মতো দেখতে। এই কথায় কেউ টোপ গিলতেন, আবার কেউ পাত্তা দিতেন না। যারা গিলতেন তারা যখন পরখ করতে সাদ্দামদের গ্রামে যেতেন তখন মূর্তির ওপর কিছুটা সোনার গুঁড়ো এরা ছড়িয়ে রাখত। সেই সোনা দেখেই ক্রেতা উৎসাহী হয়ে কিনতে চাইতেন। তাঁকে কম দামের অফারও দেওয়া হত।
এরপর যখন তিনি টাকা নিয়ে এদের গ্রামে যেতেন তখন একমাত্র জামা-প্যান্ট ছাড়া বাকি সবই ফেলে রেখে প্রাণ বাঁচিয়ে কোনওরকমে ফিরে আসতে পারতেন বলে অভিযোগ।
এরকমই একটি প্রতারণার অভিযোগে সাদ্দামকে যখন পুলিশ গ্রেপ্তার করতে যায় তখন তার দাদা ও বাড়ির অন্য লোকেরা তাকে ছাড়াতে এসে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে। বাড়ির মহিলারাও এই ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েছিলেন। পুলিশকে লক্ষ্য করে চলে গুলি। শেষপর্যন্ত অভিযুক্তকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নিয়ে চম্পট দেয় সাদ্দামের ভাইরা।
সাদ্দামের মা তসলিমা সর্দার গুলি চলার কথা স্বীকার করলেও দাবি করেন, তাঁদের তরফে কোনও গুলি চালানো হয়নি। হামলার অভিযোগে পুলিশ সাদ্দামের পরিবারের দুই মহিলাকে আটক করেছে।