মুখ্যমন্ত্রী বনাম রাজ্যপাল মামলা, শুনানি শেষে কী বলল আদালত?...
আজকাল | ১৬ জুলাই ২০২৪
আজকাল ওয়েবডেস্ক: রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছিলেন রাজ্যের রাজ্যপাল। সোমবার কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি কৃষ্ণ রাওয়ের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হয়। বুধবার এই মামলার শুনানি থাকলেও, পিছিয়ে সোমবার দিন ধার্য হয়েছিল। তবে এদিন শুনানি হলেও, অন্তর্বর্তী রায়দান স্থগিত রেখেছে আদালত।
রাজ্যের রাজ্যপালের অভিযোগ, তাঁর মানহানি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। সোমবার রাজ্যপালের আইনজীবী শুনানিতে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যপালের প্রসঙ্গে যে মন্তব্য করেছেন, তা মানহানিকর, বিদ্বেষমূলক। যদিও এর প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী মনে করিয়ে দেন, রাজভবনের মহিলা কর্মী রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রী মন্তব্য করেছেন। তাই এটি মানহানিকর নয়, এই মন্তব্য সবার স্বার্থে। দু’ পক্ষের সওয়াল-জবাবের পর এদিন শুনানি স্থগিত হয়ে যায়। অন্তর্বর্তী রায়দান স্থগিত রাখা হয়।
উল্লেখ্য, ভোট পর্বেই এক অভিযোগকে কেন্দ্র করে রাজ্য রাজনীতির পারদ চড়েছিল কয়েকগুন। রাজভবনের এক মহিলা কর্মী অভিযোগ করেছিলেন শ্লীলতাহানির। অভিযোগের তীর রাজ্যের রাজ্যপালের দিকে। রাজ্য-রাজ্যপালের সংঘাত এ রাজ্যে বহুদিন ধরেই লক্ষণীয়। পরে উপনির্বাচনে জয়ী দুই বিধায়কের শপথ গ্রহণকে কেন্দ্র করে সংঘাত অন্য মাত্রা নেয়। তখনই বক্তব্যে শ্লীলতাহানির অভিযোগের প্রসঙ্গে উঠে আসে মুখ্যমন্ত্রীর। শপথ গ্রহণের টালবাহানার মাঝে মমতা বলেছিলেন, ‘ উনি হয় স্পিকারকে এই অধিকার দিন, নয়তো ডেপুটি স্পিকারকে। আর তা না হলে নিজে বিধানসভায় আসুন। ওঁর রাজভবনে কেন সকলে যাবেন? রাজভবনে যা কীর্তি-কেলেঙ্কারি চলছে, তাতে মেয়েরা যেতে ভয় পাচ্ছেন বলে আমার কাছে অভিযোগ করছেন।‘ এই মন্তব্যের পরেই মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস।