নেই ‘স্থায়ী’ ফেরিঘাট, নদী পেরতে দুর্ভোগ বাসিন্দাদের
বর্তমান | ১৬ জুলাই ২০২৪
সংবাদদাতা, কাটোয়া: স্থায়ী কোনও ফেরিঘাট নেই। তাই অস্থায়ী ফেরিঘাট দিয়েই যাতায়াত করতে হয় বাসিন্দাদের। বর্ষায় ফেরিঘাটের রাস্তা চলাচলের অযোগ্য হয়ে ওঠে। জলকাদা ভেঙে যাতায়াত করতে গিয়ে রীতিমতো দুর্ভোগ পোহাতে হয় গ্রামের বাসিন্দাদের। পূর্বস্থলী-২ ব্লকের ভাগীরথীর অপর পাড়ে দামপাল গ্রামের বাসিন্দারা চাইছেন, স্থায়ী ফেরিঘাট করা হোক। পাশাপাশি ফেরিঘাটের রাস্তাও তৈরি করে দেওয়া হোক। বাজার, হাসপাতাল যেতে গেলে দামপালের বাসিন্দাদের ভাগীরথী নদীতে নৌকা পেরিয়ে যাতায়াত করতে হয়।
পাটুলি পঞ্চায়েতের উপপ্রধান দেবব্রত রায় বলেন, ফেরিঘাট নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। দ্রুত সমস্যার সমাধান করা হবে।
পূর্বস্থলী-২ ব্লকের দামপাল গ্রামটি ভাগীরথীর অপর পাড়ে অবস্থিত। পূর্ব বর্ধমান জেলার মূল ভূখণ্ডের সঙ্গে প্রায় বিচ্ছিন্ন গ্রামটি। গ্রামে ৪০০ পরিবারের বসবাস। প্রতিদিন দামপাল থেকে কয়েক হাজার মানুষকে নৌকা পার হয়ে পাটুলি আসতে হয়। স্বাস্থ্যকেন্দ্র, বাজার, স্কুল, কলেজ থেকে প্রশাসনিক যেকোনও কাজেই দামপালের বাসিন্দারা পাটুলিতে আসেন। তবে স্থায়ী ফেরিঘাট না থাকায় মাটির রাস্তা দিয়েই ফেরিঘাটে যাতায়াত করতে হয় বাসিন্দাদের। বর্ষা এলে দুর্গম হয়ে ওঠে ফেরিঘাট। সাইকেল ভ্যান নিয়েও যাওয়া যায় না। দামপাল গ্রামের বাসিন্দারা বেশির ভাগই কৃষিকাজ উপরেই নির্ভরশীল। তাই অনেকেই সব্জি নিয়ে প্রতিদিন নৌকা পেরিয়ে পাটুলি যাতায়াত করেন। সব্জি ভর্তি সাইকেল, ভ্যান নিয়ে ফেরিঘাটের রাস্তায় যাতায়াত করতে গিয়ে কালঘাম ছুটে যায় বাসিন্দাদের। তাঁরা চাইছেন ঢালাই রাস্তা তৈরি করে স্থায়ী ফেরিঘাট করা হোক। দামপাল গ্রামের বাসিন্দা মন্টু বিশ্বাস বলেন, বর্ষাকালে জল বাড়লে নদী পেরিয়ে যাতায়াত করতে খুব অসুবিধা হয়। স্কুল পড়ুয়া থেকে মহিলা, সকলকেই সমস্যায় পড়তে হয়। দামপাল গ্রামে নদী পেরনোর জন্য কোনও স্থায়ী ফেরিঘাট নেই। বর্ষা এলে নদীর জল বাড়লে ঘাটের স্থানেরও পরিবর্তন হয়। এছাড়াও নদী বাঁধ ভাঙনের কারণেও ঘাট দীর্ঘদিন এক জায়গায় স্থায়ী থাকে না।
আরেক বাসিন্দা সন্তোষ মল্লিক বলেন, ফেরিঘাট পর্যন্ত আসার রাস্তা একেবারে ভয়াবহ। টোটো, ভ্যান তো দূরের কথা। সাইকেল, মোটর সাইকেল নিয়েও ভয়ে ভয়ে ঘাটে আসতে হয় আমাদের। দামপালের আরেক বাসিন্দা নিমাই মণ্ডল বলেন, রাতে কারও কিছু সমস্যা হলেও আমাদের নৌকার উপরেই নির্ভর করতে হয়। ফোন করে মাঝিকে ডাকা হয়। মাঝি না আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। তাছাড়া ঘাটে আসার রাস্তা বেহাল। নদীর ধারে ঝোপঝাড় দিয়ে ঢাকা থাকে। আলো নেই। আমরা চাই দ্রুত ফেরিঘাটের রাস্তা করে দিক প্রশাসন।