• মোদি সরকারকে তোপ ফিরহাদের
    বর্তমান | ১৬ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, বহরমপুর: গণতন্ত্রকে শেষ করে দিচ্ছে মোদি সরকার। মুর্শিদাবাদে এসে বিজেপিকে এভাবেই তোপ দাগলেন ফিরহাদ হাকিম। বিজেপির ‘গণতন্ত্র হত্যা’ দিবস পালনের কর্মসূচি নিয়ে ফিরহাদ কটাক্ষ করে বলেন, সারা ভারতবর্ষের গণতন্ত্র শেষ করে দিয়েছে মোদি সরকার। এখন বিজেপি গণতন্ত্র বাঁচানোর কথা বলছে। বাংলায় গণতন্ত্র আছে। বুলডোজার পাওয়ার এখানে নেই। লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় ধরাশায়ী হয়েছে বিজেপি। সম্প্রতি হওয়া চারটি বিধানসভা উপনির্বাচনেও একই ছবি দেখা গিয়েছে। সেই নিয়েও এদিন লাগাতার বিজেপিকে কটাক্ষ করেন ফিরহাদ।


    তিনি বলেন, গণতন্ত্রে মানুষ শেষ কথা বলে। কেন্দ্রীয় এজেন্সি শেষ কথা বলবে না। মস্তান দিয়ে মানুষের মন জয় করা যায় না। মোদি ও অমিত শাহের মস্তান অর্থাৎ কেন্দ্রীয় এজেন্সি দিয়েও মানুষের মন গলবে না। সারা ভারতবর্ষ দেখছে এবার মোদি যাচ্ছে এবং ইন্ডিয়া আসছে। ২০২৬ সালে রাজ্যে বিজেপি একটা আসনও পাবে না। মানুষ বিজেপিকে টাটা বলবে। 


    প্রসঙ্গত, ২১ জুলাই তৃণমূলের শহিদ সমাবেশের আগে কোন জেলায় কেমন প্রস্তুতি চলছে, সরেজমিনে দেখছেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে সোমবার মুর্শিদাবাদে দুটি সভায় অংশ নেন তিনি। প্রথম সভাটি জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার তরফে আয়োজন করা হয় রঘুনাথগঞ্জের রবীন্দ্রভবনে। সেখানে হাজির ছিলেন সাংসদ তথা সাংগঠনিক জেলার সভাপতি খলিলুর রহমান, চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, মন্ত্রী আখরুজ্জামান, জেলা পরিষদের সভাধিপতি রুবিয়া সুলতানা প্রমুখ। সভা সেরে মন্ত্রী বহরমপুরের সার্কিট হাউসে যান। বিকেলে বেলডাঙায় একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি বৈঠকে অংশ নেন। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মুর্শিদাবাদের সাংসদ আবু তাহের খান, বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অপূর্ব সরকার, চেয়ারম্যান রবিউল আলম চৌধুরী প্রমুখ। 


    রাজ্যের বেশকিছু জায়গায় পুলিসের উপর হামলা চালানোর ঘটনা ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, কেউ গুলি চালালে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে। যে আইন ভাঙবে পুলিস তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেবে। আদালত তার বিচার করবে। আমরা এই রাজ্যে উত্তরপ্রদেশের মতো এনকাউন্টার করব না। পুলিস অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আদালতে নিয়ে যাবে। আদালত আইন মোতাবেক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেবে, এটাই আশা করব।


    নির্বাচনে জেতার পর নেতাকর্মীরা যেন গাছাড়া মনোভাব না দেখান সেজন্য সতর্ক করেছেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, মানুষের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নমূলক পরিষেবাগুলি সরাসরি গভর্নমেন্ট থেকে দেওয়া হয়। সেগুলি মানুষ পাচ্ছেন কি না বা কোনও সমস্যা হচ্ছে কি না সেটা তদারকি করতে হবে। তা না হলে বিজেপির নেতারা গিয়ে আমাদের পরিষেবা নিজেদের বলে চালাবে। আমরা নিশ্চিতভাবে চাইব যে, সঠিক পরিষেবা মানুষ পাক এবং সেই কাজটা সঠিকভাবে হোক। রাজনৈতিক ফায়দার জন্য আমাদের পরিষেবাগুলি যেন কাজে না লাগানো হয়। এদিন সব্জি ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি নিয়েও বিজেপিকে একহাত নেন ফিরহাদ। তিনি বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টাস্কফোর্স দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছেন, কীভাবে দামটা কমানো যায়। কিন্তু দাম বাড়ানোর মূল হচ্ছে বিজেপি। সারের উপর জিএসটি, তেলের আগুন দাম,  ট্রান্সপোর্টেশন খরচ অনেক। ইলেক্ট্রিসিটির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। চাষি থেকে মানুষ সব জায়গায় হাহাকার সৃষ্টি করেছে বিজেপি। তারা চেষ্টা করছে কীভাবে মানুষকে সমস্যায় ফেলা যায়।  বেলডাঙায় একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি সভায় মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)