• আরামবাগ শহরের বেআইনি নির্মাণে এবার কড়া পদক্ষেপ
    বর্তমান | ১৬ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, আরামবাগ: আরামবাগ শহরে অবাধে বেআইনি নির্মাণ গড়ে উঠছে। দোতলার জায়গায় তিনতলা বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে। নিকাশি নালার জন্য জায়গা ছাড়া হচ্ছে না। সরকারি জমি অবাধে দখল হয়ে যাচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরই পুরসভা বেআইনি নির্মাণ রোধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে। অবৈধ ভবন নির্মাণকারীদের কাছে নোটিস পাঠানো শুরু হয়েছে।


    আরামবাগ বহু পুরাতন শহর। শহরের পূর্ব, পশ্চিম ও উত্তর অংশে নতুন জনবসতি গড়ে উঠছে। পশ্চিম ও দক্ষিণ অংশ দিয়ে দ্বারকেশ্বর নদ বইছে। নদের ওপারে ১২ ও ১৮ নম্বর ওয়ার্ডেও বাড়িঘর তৈরি হচ্ছে। শহরের মূল অংশে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে বহুতল ভবন, শপিংমল গড়ে উঠেছে। বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, এসব নির্মাণে অনেক ক্ষেত্রেই নিয়ম মানা হয়নি। লিঙ্ক রোড সংলগ্ন রাস্তার দু’পাশে পূর্তদপ্তরের একাধিক জায়গা আগেই বেদখল হয়ে গিয়েছে। পুরসভার ৪, ৬, ১২ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের ঘন বসতি এলাকার মধ্যেই নতুন বহুতল ভবন গড়ে উঠেছে। দমকল বাহিনীর গাড়ি ঢোকার জায়গা পর্যন্ত সেখানে রাখা হচ্ছে না। পুরসভার নজর এড়িয়ে কীভাবে এসব নির্মাণ হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মুখ্যমন্ত্রী বেআইনি নির্মাণ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিতেই পুরসভা অবশ্য নড়েচড়ে বসেছে। পুরসভার নির্মাণ বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, শহরে নতুন বাড়ি নির্মাণ করা ছাড়াও বাড়ির কাঠামোগত পুনর্নির্মাণে পুরসভার নির্মাণ বিভাগের অনুমোদন প্রয়োজন। অনেক জায়গায় এসব ক্ষেত্রে নজরদারিতে খামতি থেকে যাচ্ছে। নিয়ম যারা মানেনি তাদের নোটিস পাঠানো হচ্ছে। নোটিসের উত্তর না পেলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে। পুরসভার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার প্রদীপ সিংহরায় বলেন, মহকুমা প্রশাসনিক ভবন, মেডিক্যাল কলেজ, মহাবিদ্যালয় এই শহরের মধ্যে রয়েছে। ব্যবসা বাণিজ্যেরও মূল কেন্দ্র। স্বাভাবিকভাবেই এখানে জনবসতির সংখ্যা বাড়ছে। গ্ৰাম থেকে এসে মানুষজন বাড়িঘর করছেন। গ্ৰিন সিটি প্রকল্পে আধুনিক পরিষেবা যুক্ত ও পরিবেশ বান্ধব হিসেবে শহরটিকে গড়ে তোলা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে বেআইনি নির্মাণ কোনওভাবে কাম্য নয়। চেয়ারম্যানকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্য আবেদন করা হয়েছে।


    পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কাউন্সিলার বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, শহরের ভিতর একাধিক বেআইনি নির্মাণ গড়ে উঠেছে। শাসক দলের একাংশের প্রশ্রয়ে এই কাজ হচ্ছে। পুরসভাকে বহুবার বিষয়টি জানানো হয়েছে। এমনকী বেআইনি নির্মাণের কাগজপত্র পর্যন্ত তুলে দিয়েছি। কিন্তু, কোনও কাজ হয়নি। আইওয়াশ করার জন্য পুরসভা এসব করছে। পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর ভাণ্ডারী বলেন, পুরসভা এলাকায় যেসব বেআইনি ভবন নির্মিত হয়েছে, সেগুলি চিহ্নিত করার কাজ চলছে। যেসব বেআইনি ভবন চিহ্নিত হয়েছে, তাদের মালিকদের নোটিস পাঠানো হচ্ছে। আইনি নির্দেশ যারা মানবে না তাদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।  আরামবাগের ৬ নম্বর ওয়ার্ডে ফুটপাত দখলমুক্ত করতে ব্যবসায়ীদের কাছে অনুরোধ জানাতে যান পুর চেয়ারম্যান স্বপন নন্দী।-নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)