বেলদা পশ্চিম মেদিনীপুরের অন্যতম পুরনো জনপদ। কিন্তু বহুদিন ধরে বেলদার মানুষ যানজটে ভুগছেন। বেলদার উপর দিয়ে প্রতিদিন দীঘা ও মেদিনীপুরের উদ্দেশে কয়েকশো বাস যাতায়াত করে। কিন্তু বেসরকারি বাসের স্ট্যান্ড না থাকায় রাস্তার উপর সেগুলি দাঁড়িয়ে থাকছে। ফলে বেলদায় রোজ যানজট হচ্ছে।দীর্ঘ কয়েক দশক ধরে এই সমস্যার কোনও সমাধান হয়নি।
অবশেষে নারায়ণগড়ের বিধায়ক সূর্যকান্ত অট্টের উদ্যোগে যানজট মেটাতে জেলা প্রশাসনের কাছে প্রস্তাব রাখা হয়। তাতে বলা হয়েছিল, বাসস্ট্যান্ডে থাকা বিভিন্ন দোকান সরিয়ে জায়গাটি চওড়া করে বেসরকারি বাস দাঁড়ানোর ব্যবস্থা করা হবে। এজন্য সেখানকার গান্ধী পার্কে থাকা মহাত্মা গান্ধীর মূর্তিটি বাদে বাকি অংশ ভেঙে দেওয়া হবে। এই সংস্কারকাজে প্রায় কোটি টাকা খরচ করা হবে। ওই জায়গার ব্যবসায়ীদের অন্যত্র পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। জেলাশাসকের তরফে এই সংস্কারের অনুমোদন মিলেছে। এরপর শুক্রবার নারায়ণগড় বিডিও অফিসে স্থানীয় ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিদের নিয়ে ব্লক প্রশাসন একটি বৈঠক করে। সেখানে বিধায়কও উপস্থিত ছিলেন। বেলদাকে যানজটমুক্ত করতে কী কী করা যায়, সেবিষয়ে ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিধায়ক বলেন, বেসরকারি বাসের স্থায়ী স্ট্যান্ড না থাকায় এতদিন বেলদার যানজট সমস্যার সমাধান করা যায়নি। আমি সম্প্রতি জেলাশাসককে গান্ধী পার্ক সংলগ্ন এলাকা সংস্কারের জন্য প্রস্তাব পাঠিয়েছিলাম। তা অনুমোদিত হয়েছে। আশা করছি, পুজোর মধ্যে বেশিরভাগ কাজ হয়ে যাবে। বেলদাকে যানজটমুক্ত করতে এরপর আরও পদক্ষেপ করা হবে। বেলদার ব্যবসায়ী রঞ্জন মান্না বলেন, বাসস্ট্যান্ডের পাশাপাশি সাইকেল ও মোটরবাইক রাখার পর্যাপ্ত স্ট্যান্ড তৈরি করলে বেলদার যানজট সমস্যা অনেকটাই মিটবে। প্রশাসনের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।
যানজট কমাতে বেলদাতে গান্ধী পার্ক ভেঙে তৈরি হবে বেসরকারি বাসস্ট্যান্ড।-নিজস্ব চিত্র