বোলপুরে বনমহোৎসব পালন উদ্বোধক ও প্রধান অতিথির গরহাজিরা নিয়ে চর্চা
বর্তমান | ১৬ জুলাই ২০২৪
সংবাদদাতা, বোলপুর: প্রতিবছরের মতো এবারও মহাসমারোহে বনমহোৎসব উদযাপন হল বোলপুর মহকুমায়। রাজ্য সরকারের বীরভূম বন বিভাগের ব্যবস্থাপনায় বোলপুর রেঞ্জ অফিস এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে। এই উপলক্ষ্যে সতীপীঠ কঙ্কালীতলা লাগোয়া বেঙ্গুটিয়া আদিবাসী প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে পদযাত্রা, বৃক্ষরোপণ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ও উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় ও মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহার। কিন্তু তাৎপর্যপূর্ণভাবে তাঁদের দু’জনকেই এদিনের অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি। তবে উপস্থিত ছিলেন বোলপুর লোকসভার সাংসদ অসিত মাল, বীরভূম জেলা পরিষদের সভাধিপতি কাজল শেখ। তাঁরাই পদযাত্রা ও বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সরকারের দক্ষিণ পূর্ব চক্রের প্রধান মুখ্য বনপাল বিদ্যুৎ সরকার, মহকুমা শাসক অয়ন নাথ সহ অন্যান্যরা।
এদিন ‘বাঁচবে সবুজ, গড়ছি বন। কমবে দূষণ তাপ ও দহন’ স্লোগানে প্রথমে কচিকাঁচাদের নিয়ে একটি পদযাত্রার আয়োজন করে বনদপ্তর। এরপর অনুষ্ঠানে আগত অতিথিরা বৃক্ষরোপণ করেন। এদিনের সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকলেও তার চার কিলোমিটার দূরে একটি বেসরকারি স্কুলের উদ্বোধনে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিনহা। যার জেরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি দলীয় কোন্দল বলে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির।
বিজেপির বোলপুর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সন্ন্যাসীচরণ ওরফে অষ্টম মণ্ডল বলেন, জেলা পরিষদের সভাধিপতি যেখানে উপস্থিত থাকেন, সেখানে মন্ত্রী তথা অনুব্রত ঘনিষ্ঠদের দেখা যায় না। এটা অনেকদিন ধরেই দেখছি। এর থেকে তৃণমূলের যে দলীয় কোন্দল রয়েছে, তা জলের মতো পরিষ্কার।
যদিও এবিষয়ে মন্ত্রী বলেন, সামনেই ২১ জুলাইয়ের কর্মসূচি রয়েছে। সেজন্য ব্লকস্তরের নেতাকর্মীদের নিয়ে বৈঠকে ব্যস্ত ছিলাম। তবে এপ্রসঙ্গে জেলা সভাধিপতি বলেন, এই অনুষ্ঠান বনদপ্তর আয়োজন করেছে। মন্ত্রী বা ডেপুটি স্পিকার কেন উপস্থিত হননি, এনিয়ে কোনও মন্তব্য করব না। তবে যেহেতু সরকারি অনুষ্ঠান, তাই ওঁদের উপস্থিত থাকা উচিত ছিল। • নিজস্ব চিত্র