নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: সোমবার উল্টোরথে মেতে উঠলেন বীরভূমবাসী। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে জাঁক জমকপূর্ণভাবে রথের রশিতে টান দেন ভক্তেরা। বেশ কিছু জায়গায় সোজা রথের তুলনায় উল্টোরথে মানুষজনের উন্মাদনা ছিল অনেকটাই বেশি। ঢাক, ঢোলা সহ বিভিন্ন বাজনা সহযোগে শোভাযাত্রা হয়। তবে কোথাও কোথাও বৃষ্টিতে কিছুটা তাল কাটে।
এদিন চিরাচরিত প্রথা মেনে তারাপীঠে দেবী তারাকে রথের উপর অধিষ্ঠান করানো হয়। দেবী এদিন রথে চেপে এলাকা পরিদর্শন করেন। তবে উল্টোরথে দড়ি ঘুরিয়ে টানা হয়। ভক্তরা রাস্তার দু’ধারে লাইন দিয়ে রথ টানা দেখেন। কেউ কেউ রথের দড়িতে হাত লাগিয়ে মনস্কামনা পূর্ণ করেন। একইভাবে মল্লারপুরের বীরচন্দ্রপুরেও রথের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। সিউড়িতে বিশাল শোভাযাত্রা বের হয়। সুসজ্জিতভাবে রাস্তার দু’ধারে ঢাক বাজাতে বাজাতে রথ টেনে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিসও সব জায়গাতে মজুত ছিল।
একইভাবে সাঁইথিয়া, দুবরাজপুরেও রথের প্রতি মানুষের টান ছিল ব্যাপক। হেতমপুর রাজ পরিবারের পক্ষ থেকেও উল্টোরথ বের করা হয়। বিশেষ পুজো-অর্চনার পর রথের চাপানো হয় রাধাগোবিন্দ, গৌরাঙ্গ নিত্যানন্দ মহাপ্রভুকে। তারপর রথের রশিতে টান দেন রাজ পরিবারের সদস্যরা। রাজকন্যা বৈশাখী চক্রবর্তী বলেন, গৌরাঙ্গ মঠকে রথের দায়িত্ব দেওয়ার পর মঠের রীতিনীতি অনুযায়ী রথ টানা হয়েছে। আমরা রঞ্জন প্যালেসে ঘরোয়াভাবে উল্টোরথ পালন করলাম। অন্যদিকে, লাভপুর, নানুরেও উল্টোরথে ব্যাপক ভিড় দেখা যায়। রথকে কেন্দ্র করে মেলা বসে। কিন্তু দুপুরের পর একপশলা বৃষ্টিতে কিছুটা ছন্দ কাটে। রাস্তার গর্তে জল দাঁড়িয়ে যায়। কোথাও আবার রাস্তার ধারে জল দাঁড়িয়ে কাদাও হয়ে যায়। এতে রথ টেনে নিয়ে যেতে কিছুটা সমস্যা হয়।