জলপাইগুড়িতে আয় বৃদ্ধির লক্ষ্যে এবার চায়ের পাশাপাশি বিকল্প চাষেও জোর ক্ষুদ্র চা চাষিদের
বর্তমান | ১৬ জুলাই ২০২৪
সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি: শুধু চা চাষের উপর নির্ভর না করে আয় বাড়াতে এবার বিকল্প চাষ শুরু করলেন জলপাইগুড়ি জেলার ক্ষুদ্র চাষিদের একাংশ। ড্রাগন ফ্রুট, গোলমরিচ, মালটা, মাশরুম থেকে শুরু করে ফিশারি, গোটারি, পোল্ট্রিকে বিকল্প চাষ হিসেবে নিয়ে কাজ শুরু করা হয়েছে। যার নাম দেওয়া হয়েছে ‘স্মল টি গ্রোয়ার্স সাসটেইনেবল প্রোগ্রাম’। প্রাথমিকভাবে জেলায় ৮০০ জন এ কাজ শুরু করেছেন। শীঘ্রই দু’হাজারের বেশি ক্ষুদ্র চা চাষি এই বিকল্প চাষ শুরু করতে চলেছেন বলে জানিয়েছে জলপাইগুড়ি জেলা ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতি। সংগঠনের তরফে জানানো হয়েছে, জলপাইগুড়ি জেলা থেকে শুরু করলেও ক্ষুদ্র চা চাষিদের স্বার্থে এই বিকল্প চাষ অন্যান্য জেলাকেও পথ দেখাবে।
কাঁচা চা পাতার দাম পাওয়া যাচ্ছে না। তার উপর আবার গত কয়েক বছর ধরে আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে ছোট-বড় বাগানকে। ফলে আর্থিক সমস্যায় পড়ছেন ক্ষুদ্র চা চাষিরা। আয় বাড়াতে চায়ের পাশাপাশি তাই বিকল্প চাষ নিয়ে গত ২০২১ সাল থেকে পরিকল্পনা শুরু করে জলপাইগুড়ি জেলা ক্ষুদ্র চা চাষি সমিতি। অবশেষে দু’টি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে কে, কী চাষ করতে চান, তা নিয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত জেলায় প্রায় ২২০০ জন প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। এর মধ্যে ৮০০ জন কাজ শুরু করেছেন। সমিতির সদস্য তথা এই প্রোগ্রামের মেন্টর তপন বিশ্বাস বলেন, বিকল্প চাষ যেটা করা হচ্ছে, তা চা বাগানকে বাদ দিয়ে নয়। চা বাগানের ভিতরে যে ফাঁকা জায়গা রয়েছে, সেখানে মালটা চাষ করা হচ্ছে। বাগানের ধার দিয়ে ড্রাগন ফ্রুট ও সুপারি চাষ হচ্ছে। আবার শেড ট্রি কাজে লাগিয়ে চলছে গোলমরিচ চাষ। এছাড়া বাগানের পাশে ঘর তৈরি করে ফিশারি, গোটারি ও পোল্ট্রি চাষ করা হচ্ছে। তপনবাবুর দাবি, ড্রাগন ফ্রুট বাদ রাখলে বাকিগুলিতে একবারই লগ্নি করতে হবে। প্রথম অবস্থায় ৬০ শতাংশ লাভ হলেও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে লাভের অঙ্ক বাড়বে।
জলপাইগুড়ি জেলা ক্ষুদ্র চাষি সমিতির সম্পাদক বিজয়গোপাল চক্রবর্তী বলেন, ক্ষুদ্র চা চাষিদের স্বার্থে এ কাজ শুরু করা হয়েছে। আগামীতে এটা আরও ছড়িয়ে দেওয়া হবে। গোলমরিচ চাষ। ফাইল চিত্র