বিদ্যুত্ না থাকলে ফিল্টার বন্ধ, দোকান থেকে জল কিনে খান রোগীরা, ক্ষোভ
বর্তমান | ১৬ জুলাই ২০২৪
সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর: হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতাল চত্বরে তিনটি সাবমার্সিবল দীর্ঘদিন ধরে বিকল। হরিশ্চন্দ্রপুর ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে বসানো জলের ফিল্টার মেশিনই একমাত্র ভরসা রোগী ও তাঁর আত্মীয়দের। তবে মাঝেমধ্যে অগভীর নলকূপের আয়রন যুক্ত জল পান করতে বাধ্য হচ্ছেন রোগী ও তাঁর পরিজনরা। এমনটাই অভিযোগ হাসপাতালে আসা মানুষজনের। সাবমার্সিবল মেরামতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসন কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ তাঁদের। যদিও হরিশ্চন্দ্রপুর ১ এর বিডিও সৌমেন মণ্ডল সাবমার্সিবল মেরামতের আশ্বাস দিয়েছেন।
হাসপাতাল চত্বরে তিনটি সাবমার্সিবল, তিনটি চাপাকল ও একটি জলের ফিল্টার মেশিন রয়েছে। তার মধ্যে ফিল্টার মেশিন ও একটি চাপাকল ছাড়া সব অকেজো।
হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ও ২ ব্লকের মানুষের ভরসা এই হাসপাতাল। বহুদিন বহু মানুষ চিকিৎসা পরিষেবা নিতে আসেন এখানে। বহু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। স্থানীয় বাসিন্দা গণেশ দাস বলেন, জলের ফিল্টার মেশিনটিও মাঝেমধ্যে খারাপ হয়ে যায়। বিদ্যুৎ না থাকলে সেটা চলে না। তখন অন্য জায়গা থেকে জল আনতে হয়। এক রোগীর আত্মীয় নাজলি বিবি বলেন, হাসপাতালে পরিশ্রুত পানীয় জলের ব্যবস্থা না থাকায় অগভীর নলকূপের জল খেতে হয়। নাহলে বাইরে থেকে জল কিনে খেতে হয়।
লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয়ে বসানো সাবমার্সিবলগুলি বহুদিন থেকে বিকল হয়ে থাকায় ক্ষোভ বাড়ছে রোগীর পরিজনদের। হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের বিএমওএইচ অমলকৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। মালদহের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ্ত ভাদুড়ি বলেন, জলের বিষয়টি জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তর দেখে। এদিকে ফোন না তোলায় পিএইচই’র চাঁচল মহকুমার সহকারী ইঞ্জিনিয়ার সুমিত ঘোষের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে স্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর, হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতালের জন্য শীঘ্রই নতুন সাবমার্সিবল বসানো হবে।