সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না খগেন মুর্মুর। দিন কয়েক আগে পুরাতন মালদহের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে জলমগ্ন অবস্থা দেখতে গিয়ে বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়েছিলেন। সোমবার সকালে উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ শহরের ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের জলমগ্ন রাস্তা পরির্দশনে গিয়ে তৃণমূল কাউন্সিলার প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী গঙ্গোপাধ্যায়ের স্বামী তথা শহরের তৃণমূল যুব সভাপতি শ্রবণ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন ।
তর্কবিতর্কে পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নেয়। পুরসভার তৃণমূল কাউন্সিলার শক্রঘ্ন সিনহা বর্মা, প্রিয়াঙ্কা সহ একাধিক জনপ্রতিনিধির দাবি, কয়েক দিন ধরে ওয়ার্ড পরির্দশনের নামে বিজেপির নেতারা শুধু রাজনীতি করছেন। উন্নয়ন তহবিলের টাকায় কাজ না করে সাংসদ শুধু রাজনৈতিক ফায়দার কথা ভেবে বাজার গরম করার চেষ্টা করছেন।
এদিনের ঘটনা প্রসঙ্গে খগেন বলেন, ওই ওয়ার্ডে জল জমে। পুরসভা এলাকায় জলের উপর দিয়ে হাঁটছেন সবাই। কোনও পরিকল্পনা করা হয়নি। কীভাবে জল বের করা যায় সেসব দেখতেই এসেছিলাম। স্থানীয় কাউন্সিলারকেও ডেকেছিলাম। খগেন পুরসভার কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলার পরই তাঁর সঙ্গে বচসা জড়িয়ে পড়েন ওই ওয়ার্ড কাউন্সিলারের স্বামী শ্রবণ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কাউন্সিলার হিসেবে অবশ্যই দায়িত্ব রয়েছে। ওই ওয়ার্ডে মাত্র দু’বছর ক্ষমতায় এসেছি। জল জমা দীর্ঘ এক দশকের অসুবিধা। অতীতে ড্রেনের পরিকল্পনায় ভুল ছিল। সমস্যা মেটানোর জন্য মাস্টার প্ল্যান করে ড্রেন করেছি। আরও দুটো ড্রেনের টেন্ডার করা হয়েছে। বর্ষার জন্য কাজ শুরু হতে দেরি হচ্ছে। ড্রেন হলে আর ভোগান্তি হবে না। বিজেপি সাংসদ এসে এলাকায় বিভেদ তৈরি করছেন। সাংসদ হিসেবে কী কাজ করেছেন তিনি? তাঁর কি কোনও দায়িত্ব নেই? সেবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে বিজেপি সাংসদ তর্ক শুরু করেন।
শহর তৃণমূল যুব সভাপতি আরও বলেন, আমরা শুনেছি বিজেপি সাংসদ এলাকায় এসে ছাপ্পা ভোটের কথা বলেছেন। এসব কথা বলে তিনি ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষকে অপমান করেছেন। পুরাতন মালদহ পুরসভার চেয়ারম্যান কার্তিক ঘোষও এদিন খগেনের সমালোচনা করেছেন। তাঁর কথায়, পরিদর্শনের নাম করে বিজেপি সাংসদ নাটক করে বেড়াচ্ছেন। তাঁর সাংসদ তহবিল থেকে পুরসভার উন্নয়নে টাকা দেন না। আমরা ওই ওয়ার্ডে ৫৫ শতাংশ কাজ করে দিয়েছি। ৪৫ শতাংশ বর্ষার পরেই শুরু হবে। ওয়ার্ক অর্ডার রেডি। সব কাগজ আমাদের কাছে রয়েছে। মিথ্যার রাজনীতি করে বেড়াচ্ছেন বিজেপি সাংসদ। নিজস্ব চিত্র