নিজস্ব প্রতিনিধি, শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি: সব্জির রশিদে ওজন লেখা। কিন্তু রশিদে দামের উল্লেখ নেই। শিলিগুড়ির বাজারে সব্জি বিক্রেতাদের এই কাণ্ডকারখানা দেখে সোমবার ক্ষোভ প্রকাশ করলেন দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক প্রীতি গোয়েল। এদিকে জলপাইগুড়ি দিনবাজারেও এদিন আলু কেনার রশিদ দেখাতে না পারায় এক ব্যবসায়ীর ১৩ বস্তা আলু বাজেয়াপ্ত করার নির্দেশ দেন জেলাশাসক শমা পারভীন।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে সব্জির দাম নিয়ন্ত্রণে শিলিগুড়ির বিধান মার্কেটে ঝটিকা অভিযান করেন দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক। এদিন বিধান মার্কেটে অধিকাংশ ব্যবসায়ীর কাছে সব্জি কেনার রসিদ দেখতে চান জেলাশাসক। বেশির ভাগ ব্যবসায়ী রসিদ দেখালেও তাতে সব্জির দাম লেখা না থাকায় জেলাশাসক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এদিন দুপুর ১টা নাগাদ জেলাশাসক আচমকাই বিধান মার্কেটে প্রবেশ করেন। সেখানে তিনি সব্জির দোকানগুলি পরিদর্শন করেন। তিনি বিভিন্ন সব্জির দাম নিয়েও খোঁজখবর করেন। জেলাশাসক প্রীতি গোয়েল বলেন, এদিন বিধান মার্কেট পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। এনফোর্সমেন্টের দল নজর রাখছে। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অন্যদিকে এদিন দাম নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে জলপাইগুড়ি শহরের দিনবাজারে আচমকা পরিদর্শনে যান জেলাশাসক শমা পারভীন। বাজারে ঘুরে ঘুরে তিনি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলে আলু, পেঁয়াজ সহ বিভিন্ন সব্জির দাম শোনেন। কিছুতেই যাতে দাম বৃদ্ধি না হয় সেসম্পর্কে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। অন্যদিকে এদিন থেকেই সুফল বাংলার মোবাইল ভ্যান চালু করা হল। এখান থেকে ২৮ কেজি দরে আলু ও ৩৮ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করা হয়। কিছুক্ষেত্রে সন্তোষ প্রকাশ করলেও, আলু, পেঁয়াজের পাইকারি ও খুচরো দামের ফারাক শুনে ক্ষুব্ধ হন জেলাশাসক। এক কারবারি আলু কেনার যথাযথ নথি দেখাতে না পারায় এদিন ১৩ বস্তা আলুও বাজেয়াপ্ত করা হয়। এদিন জেলাশসকের সঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা কৃষি বিপণন আধিকারিক সুব্রত দে, সদরের বিডিও মিহির কর্মকার ছিলেন। রাজেশ শা নামে এক আলু ব্যবসায়ীর গুদামেও যান তিনি। আলু কেনার যথাযথ রশিদ দেখাতে পারেননি ওই ব্যবসায়ী।
শেষ পর্যন্ত জেলাশাসক পদক্ষেপ করেন। পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, আলুর দাম আগের থেকে কমেছে। আগে ৪০ টাকা ছিল। সেটা ৩০ টাকা হয়েছে। হোলসেল স্তরে দামের কিছু ফারাক আছে। তবে দাম নিয়ন্ত্রণে আনতে সুফল বাংলার মোবাইল ভ্যান চালু করা হয়েছে। জেলা জুড়েই সেগুলি ঘুরবে। বাজারে ঢোকার মুখেই ওই গাড়ি রাখা হবে। যেখান থেকে আলু, পেঁয়াজ ন্যায্যমূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। খুচরো আলু ব্যবসায়ীদের ২৮ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে। জলপাইগুড়ির দিনবাজারে অভিযানে জেলাশাসক। নিজস্ব চিত্র