আলিপুরদুয়ারে জেলা পরিষদের হাটখোলার পরিকাঠামো বেহাল
বর্তমান | ১৬ জুলাই ২০২৪
সংবাদদাতা, আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ার পুরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে জেলা পরিষদের হাটখোলার পরিকাঠামো ভেঙে পড়েছে। হাটে নিকাশিনালা, রাস্তা ও শৌচালয় নেই। নোংরা আবর্জনার গন্ধে নরক হয়ে উঠেছে হাটের পরিবেশ। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, নিকাশি না থাকায় অল্প বৃষ্টিতেই হাট জলমগ্ন হয়ে পড়ে। বৃষ্টি হলেই হাটের জীর্ণ শেডের চালা দিয়ে বৃষ্টির জল পড়ে। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, জেলা পরিষদ এই হাট থেকে প্রতি মাসে মোটা টাকার রাজস্ব নিয়ে চলে যাচ্ছে। কিন্তু হাটের বেহাল পরিষেবার দিকে তাদের নজর নেই। হাটের এই বেহাল অবস্থা ও পরিষেবা নিয়ে জেলা পরিষদের উদাসীনতায় ক্ষুব্ধ ব্যবসায়ীরা। আলিপুরদুয়ার হাটখোলায় জেলা পরিষদের একটি তিন তলা ঝা চকচকে মার্কেট কমপ্লেক্স আছে। ২০১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়ালি মার্কেট কমপ্লেক্সটির উদ্বোধন করেন। কিন্তু ব্যবসায়ীরা লিজে স্টল ভাড়া নিতে অনীহা প্রকাশ করায় মার্কেট কমপ্লেক্সের তালা আজও খোলেনি। আলিপুরদুয়ার হাট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সম্পাদক কমল দেবনাথ বলেন, প্রতি মাসে জেলা পরিষদ এই হাট থেকে মোটা টাকা রাজস্ব নিয়ে যায়। কিন্তু হাটের পরিকাঠামোর দিকে নজর নেই জেলা পরিষদের। হাটে নিকাশিনালা, রাস্তা ও শৌচালয় কিছুই নেই। হাটের শেড ফুটো হয়ে গিয়েছে। আমরা পরিষদে খুব শীঘ্রই হাটের পরিকাঠামো উন্নতির দাবিতে স্মারকলিপি দেব।
কিন্তু হাটের মধ্যে জেলা পরিষদের থাকা মার্কেট কমপ্লেক্সে যাচ্ছেন না কেন ব্যবসায়ীরা? ব্যবসায়ীরা বলেন, মার্কেট কমপ্লেক্সটি ভুল এলাকায় তৈরি করা হয়েছে। মার্কেট কমপ্লেক্সে ঢোকার রাস্তা নেই। নেই গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থাও। ফলে মার্কেট কমপ্লেক্সে ব্যবসা জমবে না। এই সমস্যার জন্য মার্কেট কমপ্লেক্সে যেতে চাইছেন না ব্যবসায়ীরা।
ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, মার্কেট কমপ্লেক্সের দুই ও তিন তলায় ৫২টি করে ১০৪টি স্টল আছে। নীচের তলাটি ফাঁকা রাখা হয়েছে। ফাঁকা নীচতলায় কিছু ব্যবসায়ী কয়েকদিন দোকান লাগিয়েছিলেন। কিন্তু ঘুপচি এলাকায় রাস্তা না থাকায় ক্রেতার অভাবে ব্যবসায়ীরা দোকানপাট গুঁটিয়ে নিয়েছেন।
জেলা পরিষদের সভাধিপতি স্নিগ্ধা শৈব অবশ্য বলেন, আলিপুরদুয়ার হাটখোলার বেহাল পরিকাঠামোগত সমস্যা নিয়ে আমরা অবগত আছি। দু’একদিনের মধ্যে ওই হাট পরিদর্শনে যাচ্ছি। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে হাটের পরিকাঠামো উন্নয়নে দ্রুত উদ্যোগ নেওয়া হবে।