• সারা দেশে ঊর্ধ্বসীমার বেশি গম মজুত রুখতে অভিযানের সিদ্ধান্ত
    বর্তমান | ১৬ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: গম মজুতের ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণ করে তা আগামী বছরের মার্চ মাস পর্যন্ত গোটা দেশে কার্যকর থাকবে বলে কেন্দ্রীয় খাদ্যমন্ত্রক ইতিমধ্যেই বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।  নির্ধারিত পরিমাণের থেকে কোথাও বেশি পরিমাণ গম মজুত আছে কি না তা জানার জন্য অভিযান চালানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। এই অভিযানে কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা এফসিআই-এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রাজ্যগুলির খাদ্যদপ্তরের আধিকারিকরাও থাকবেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। 


    অভিযানের রিপোর্ট খাদ্য মন্ত্রককে জানাতেও বলা হয়েছে। যে ব্যবসায়ীরা গম মজুত করে রাখেন তাঁদের প্রতি সপ্তাহে শুক্রবার মজুতের পরিমাণ সম্পর্কে খাদ্য মন্ত্রকের পোর্টালে তথ্য পেশ করতে হবে। এই তথ্য ঠিকমতো জমা যাঁরা দেবেন না তাঁদের জায়গায় অভিযান চালানোর পরামর্শ দিয়েছে মন্ত্রক। পাইকারি ব্যবসায়ী ৩ হাজার টনের বেশি গম মজুত রাখতে পারবেন না। খুচরো ব্যবসায়ীদের সর্বোচ্চ মজুতের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়েছে ১০ টন। 


    ব্যবসায়ীরা বেশি পরিমাণে গম  মজুত করার জেরে যাতে আটা-ময়দার দাম বেড়ে না যায় তার জন্য ঊর্ধ্বসীমা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট মহলের মতে দেশে খোলাবাজারে গমের পরিমাণ পর্যাপ্ত না হওয়ার কারণে এটা করা  হতে পারে। চলতি মরশুমে সরকারি উদ্যোগে ২ কোটি ৬৬ লক্ষ টন গম কেনা হয়েছে। এটা গতবছরের থেকে মাত্র ৪ লক্ষ টন বেশি। আগামী একবছরে রেশন গ্রাহকসহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় প্রকল্পের চাহিদা মেটাতে ১ কোটি ৮৪ লক্ষ টন গম লাগবে। কিন্তু কেন্দ্রীয় মজুত ভাণ্ডার থেকে তুলনামূলকভাবে কম দামে  খোলাবাজারে গম বিক্রির সিদ্ধান্ত এবার এখনও ঘোষণা করেনি কেন্দ্র। 


    গত মে মাস পর্যন্ত এই প্রক্রিয়া চলেছিল। নির্বাচন শেষ হওয়ার পর থেকে তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। খোলবাজারে সরকারের বিক্রি করা গম থেকে আটা উৎপাদন করে তা বাজারে কম দামে বিক্রি করেছিল বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি সংস্থা। কিন্তু  পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে নিজস্ব রেশন প্রকল্পের গ্রাহকদের  জন্য গম বিক্রি করা হয়নি। রাজ্য প্রকল্পের গ্রাহকদের যাতে গম দেওয়া যায় তার জন্য  কেন্দ্রের এটা অবিলম্বে করা উচিত। দাবি রেশন ডিলারদের সর্বভারতীয় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বম্ভর বসুর। 
  • Link to this news (বর্তমান)