• বিরিয়ানিতে বিষাক্ত রং, পার্ক সার্কাসের রেস্তরাঁকে ৩ লক্ষ জরিমানা
    বর্তমান | ১৬ জুলাই ২০২৪
  • অর্ক দে, কলকাতা: ‘মেটানিল ইয়েলো’। এটি এক ধরনের হলুদ রঙের রঞ্জক। যা মূলত জামাকাপড় রং করার কাছে ব্যবহার হয়। এটি বিষাক্ত। বিষাক্ত সেই রঞ্জকের সন্ধানই এবার মিলল বিরিয়ানিতে। সম্প্রতি পার্কসার্কাসের এক নামকরা রেস্তরাঁতে অভিযান চালিয়েছিল কলকাতা পুরসভা। তাদের তৈরি বিরিয়ানিতে পাওয়া গেল বিষাক্ত রঞ্জক মেটানিল ইয়েলো। 


    রেস্তরাঁটির বিরিয়ানির নমুনা নিয়ে এসেছিল পুরসভা। খাদ্যে ভেজাল রুখতে পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের শাখার ল্যাবরেটরিতে সে বিরিয়ানি পরীক্ষা করা হয়। রিপোর্ট আসার পর দেখা যায়, বিরিয়ানি রঙিন করতে হলুদ রঙা বিষাক্ত রঞ্জক ব্যবহার করেছে রেস্তরাঁটি। পুরকর্তাদের দাবি, এই বিষাক্ত রঞ্জক শরীরে গেলে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। একইসঙ্গে আরও নানা ধরনের রোগ শরীরে বাসা বাধতে পারে। এমন একটি নামকরা প্রতিষ্ঠান বিষাক্ত রঞ্জক ব্যবহার করছে দেখে বিস্মিত পুর আধিকারিকরা। রেস্তরাঁটিকে তিন লক্ষ টাকার জরিমানা করা হয়েছে।


    এই বিরিয়ানির দোকানটি শুধু নয়, পার্ক স্ট্রিটের আরও এক নামী রেস্তরাঁর খাবারেও মিলেছে ভেজাল। তাদের কাছ থেকেও মোটা টাকা জরিমানা আদায় হয়েছে। পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, পার্ক স্ট্রিটের ওই মাল্টিকুইজিন রেস্তরাঁ থেকে পনির টিক্কা মশালা, পনির বাটার মশালা, চিকেন ভর্তা সহ একাধিক রান্না খাবারের নমুনা সংগ্রহ হয়েছিল। যে ধরনের মসলা ব্যবহার করেছে তারা, তার গুণমান যথেষ্ট খারাপ। আমাদের মানদণ্ড অতিক্রম করতে পারেনি। মাংসের গুণমান নিয়েও প্রশ্ন ছিল। তাই ওই সংস্থাকে মোটা টাকা জরিমানা করা হয়েছে।  পুরসভা সূত্রে খবর, গত কয়েক মাস ধরে বিবাদী বাগ, এসপ্ল্যানেড, পার্ক সার্কাস, পার্ক স্ট্রিট, এলগিন রোড, বাইপাস সংলগ্ন একাধিক রেস্তরাঁয় পুরসভার খাদ্য সুরক্ষা দল অভিযান চালিয়েছে। খাবারের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই বিভিন্ন রেস্তরাঁর খাবারে ভেজাল ধরা পড়েছে। কিংবা পুরনো মাংস ব্যবহার করা হয়েছে, এমন প্রমাণ মিলেছে। ওই আধিকারিক বলেন, রেস্তোরাঁগুলি মাছ, মাংস ফ্রিজে রাখে। সেগুলি ঢাকা দিয়ে তারিখ লিখে রাখা উচিত। যাতে লেখা দেখে কত পুরনো খাদ্যদ্রব্য, তা বোঝা যায়। অনেকে সে নিয়ম মানেনি। তাদের জরিমানা করা হয়েছে। পুরসভা জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত রেস্তরাঁগুলি থেকে তিন লক্ষ কুড়ি হাজার টাকা জরিমানা আদায় হয়েছে। ২০১৬ সালে পুরসভার খাদ্য সুরক্ষা টিম তৈরি হয়েছিল। তখন থেকে এখনও পর্যন্ত কুড়ি লক্ষ টাকা জরিমানা আদায় হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)