• মুখ্যমন্ত্রী কড়া হতেই আলুর দাম কমাতে বাধ্য হলেন ব্যবসায়ীরা
    বর্তমান | ১৬ জুলাই ২০২৪
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: গত মঙ্গলবার নবান্নের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কড়া মনোভাবের পর আলুর দাম কমাতে বাধ্য হয়েছেন ব্যবসায়ীরা। হিমঘর থেকে জ্যোতি আলু ২৬ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।  বৈঠকের আগে এটা ২৮-২৯ টাকা হয়েছিল। খুচরো বাজারে আলুর দাম কমেছে। কলকাতার অধিকাংশ বাজারে জ্যোতি আলু ৩২ টাকা কেজি দরের আশপাশে বিক্রি হচ্ছে। 


    সরকারি টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে জানিয়েছেন, সোমবার বাজার পরিদর্শনে গিয়ে তাঁরা দেখছেন আলুর দাম কমেছে। দু-একটি বাজারে খুব ভালো মানের জ্যোতি আলু ৩৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। তবে সাধারণ মানের আলুর দাম ৩২ টাকার আশপাশে আছে। পাইকারি বাজারে ‌঩জ্যোতি আলু ২৮ টাকা কেজি দরের আশপাশে বিক্রি হচ্ছে।


    নবান্নের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, চাষিরা যেখানে ১৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রি করেছেন সেখানে সাধারণ মানুষকে কেন তা ৩৫ টাকা দিয়ে কিনতে হবে। আলু ব্যবসায়ী ও হিমঘর মালিকদের পক্ষ থেকে বেশি দাম হওয়ার কারণ হিসেবে কিছু ব্যাখা দেওয়া হলেও সেগুলিকে গুরুত্ব দেননি মুখ্যমন্ত্রী। বাজারের পাশাপাশি আন্তঃরাজ্য সীমান্তে আলুর উপর নজরদারি বাড়ানোর নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, রাজ্যের মানুষের চাহিদা মিটিয়ে ত঩বেই ভিন রাজ্যে আলু পাঠানো যাবে। 


    এখন আলুর দাম কমার জন্য ভিন রাজ্যে চাহিদা কমার কথা বলছেন ব্যবসায়ীরা। প্রগতিশীল আলু ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি লালু মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণে আলু আসছে। ব্যবসায়ীদের বক্তব্য, এবার হিমঘরে আলু মজুত করার সময় প্রতি কেজিতে খরচ পড়েছিল ১৭ টাকা। হিমঘরে প্রতি কেজি আলু রাখার ভাড়া হিসেবে খরচ হয় ২ টাকা। আলু বাছাইসহ আরও কিছু প্রক্রিয়ায় খরচ হয়। সব মিলিয়ে হিমঘর থেকে ২৫ টাকা কেজিতে আলু বের হলেও অল্প লাভ থাকে। এখন সেরকম পরিস্থিতি রয়েছে। বাজারের চাহিদার উপর আগামী দিনে দাম কমা বা বৃদ্ধি নির্ভর করবে।
  • Link to this news (বর্তমান)