• প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি ২ মামলায় হাইকোর্টের শুনানিতে সুপ্রিম-স্টে
    এই সময় | ১৬ জুলাই ২০২৪
  • এই সময়, নয়াদিল্লি: প্রাথমিকে ২০১৪-এর টেটের ভিত্তিতে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত দু’টি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের শুনানির উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করল সুপ্রিম কোর্ট। হাইকোর্টের নির্দেশে চাকরিহারা ৯৪ জন প্রাথমিক শিক্ষকের আবেদনের ভিত্তিতে সোমবার শুনানি চলছিল শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অভয় এস ওকা ও বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মসিহর ডিভিশন বেঞ্চে।সেই মামলায় বেঞ্চ জানায়, ওই ৯৪ জনকে অস্থায়ী ভাবে চাকরিতে নিয়োগ করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার নিষ্পত্তির উপরই তাঁদের চাকরির ভবিষ্যৎ নির্ভর করবে। আপাতত আগামী ১ অগস্ট থেকে তাঁদের চাকরিতে ফেরানো যেতে পারে। মামলার পরবর্তী শুনানি হওয়ার কথা ২ সেপ্টেম্বর।

    এই শুনানিতেই বেঞ্চ জানিয়েছে, প্রাথমিকে ২০১৪-এর টেটের ভিত্তিতে নিয়োগে দুর্নীতি সংক্রান্ত যে দু’টি মামলার শুনানি কলকাতা হাইকোর্টে চলছে, তার উপর অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ জারি করা হলো। যার অর্থ, রমেশ মালিক বনাম পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং সৌমেন নন্দী বনাম পশ্চিমবঙ্গ সরকারের মামলা দু’টিতেই হাইকোর্টে শুনানি স্থগিত থাকবে।

    এই দু’টি মামলার শুনানি বর্তমানে চলছে হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার বেঞ্চে। প্রাথমিকে নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত এই মামলাতেই রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেপ্তার করা হয়। আবার এই মামলার সূত্র ধরেই ‘কালীঘাটের কাকু’ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের গ্রেপ্তারি এবং তাঁর বয়ানের ভিত্তিতে সামনে আসে ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ কোম্পানি এবং তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম।

    এই মামলায় এর আগে ‘লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস’ সংস্থাটির কর্তাদের সম্পত্তির খতিয়ান তদন্তকারী এজেন্সিকে জানানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। এদিন শীর্ষ আদালতের নির্দেশের প্রেক্ষিতে এই মামলাগুলির শুনানিতেও ২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ থাকবে বলে মনে করছেন আইনজ্ঞরা।

    যদিও সিবিআই তদন্তের বিষয়ে এদিন আলাদা করে কিছু বলেনি সুপ্রিম কোর্ট। ফলে তদন্তপ্রক্রিয়া জারি থাকবে বলেই আইনজীবীদের মত।নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ত্রুটি থাকায় কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে এর আগে প্রাথমিকের ৯৪ জনের নিয়োগ বাতিল করেছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ২০১৪-এর টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ সালে হয়েছিল ওই ৯৪ জনের নিয়োগ।

    হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশ চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যান আবেদনকারীরা। সেখানেও রায় বহাল থাকায় এই চাকরিহারারা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন। এদিন সেই মামলার শুনানিতে আবেদনকারী হাসান বিশ্বাসের হয়ে সুপ্রিম কোর্টে সওয়াল করেন আইনজীবী গুরু কৃষ্ণ কুমার। তার সূত্র ধরেই স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালত।
  • Link to this news (এই সময়)