খাটের নিচে সুড়ঙ্গ, মিশছে মাতলা নদীর খালে, সাদ্দামের কীর্তি দেখে চোখ কপালে পুলিশের...
আজকাল | ১৬ জুলাই ২০২৪
আজকাল ওয়েবডেস্ক: হুট করে দেখলে মনে হবে কোনও রাজা বাদশাহর ঘর। যে ঘরে ঢোকার আগে পুলিশ বুঝতে পারেনি কী বিস্ময় অপেক্ষা করছে তাদের জন্য! কুলতলিতে প্রতারণার দায়ে অভিযুক্ত সাদ্দাম সরদারের খোঁজে তার ঘরে ঢুকে পুলিশ খোঁজ পেল বড়সড় এক সুড়ঙ্গের। যে সুড়ঙ্গ পথ সোজা গিয়ে শেষ হয়েছে মাতলা নদী সংলগ্ন খালে। এই পথেই কি পালিয়েছে সাদ্দাম? তদন্তে পুলিশ। তার ঘর থেকে মিলেছে একটি যন্ত্র। যা ধাতু গলানোর যন্ত্র বলে সন্দেহ পুলিশের।
কুলতলি থানার জালাবেড়িয়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের পয়তারহাট এলাকায় সাদ্দামের বাড়ি। প্রতারণার সঙ্গে অনেকেই যুক্ত আছে বলে গ্রামের একটা, ‘বদনাম’ও আছে। সাদ্দামের বিরুদ্ধে অভিযোগ সেও দীর্ঘদিন ধরে সোনার মূর্তি বিক্রির নামে প্রতারণা চালিয়ে আসছিল। পুলিশ সোমবার সকালে তার বাড়িতে তাকে গ্রেপ্তার করতে গেলে বাধার মুখে পড়ে। তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালিয়ে সাদ্দামকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠে তার পরিবারের সদস্যদের দিকে।
এরপর বিরাট পুলিশ বাহিনী সাদ্দামের খোঁজে তার গ্রামে যায়। তল্লাশি চালানো হয় তার ঘরেও। সেখানেই খাটের নিচে তল্লাশি চালিয়ে পুলিশ এই গোপন সুড়ঙ্গের সন্ধান পায়।
এবিষয়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার এক আধিকারিক বলেন, সাদ্দামের ঘরে দুটি আলমারি। ঘরের ডানদিকে একটি ফ্রিজ। বাঁদিকের অংশে রাখা আছে খাটটি। খাটের নিচে কিছু রাখা আছে কিনা খোঁজ করতে গিয়ে দেখা যায় একটি সুড়ঙ্গপথ। ঢালাই করা সুড়ঙ্গের মুখে লোহার একটি ছোট দরজা। তালা দেওয়া। যে পথে একজন নামতে পারে। কিন্তু মূল সুড়ঙ্গ পথটা যথেষ্টই চওড়া। পাশাপাশি তিনজন হাঁটতে পারে। পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ ফুটের সুড়ঙ্গপথ লম্বায় প্রায় ৪০ ফুট। সোজা গিয়ে মিশেছে মাতলা নদীর খালে। যেখানে ডুবিয়ে রাখা আছে একটি ডিঙি নৌকা। প্রয়োজনে যা তুলে পাড়ি দেওয়া যায় নদীতে।
তবে এতকিছুর পরেও সাদ্দাম ‘পাখি’র সন্ধান পায়নি পুলিশ। চলছে খোঁজ।